মেসির সমান পয়েন্ট পেয়েও কেন দ্বিতীয় হালান্ড?
দলগত পারফরম্যান্সে গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতোই গিয়েছে আর্লিং হালান্ডের। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে জিতেছিলেন ট্রেবল। অনেকেই তাই ভেবে নিয়েছিলেন তার হাতেই উঠছে এবারের ফিফা 'দ্য বেস্ট'। এমনকি লিওনেল মেসির সমান ভোটও পেয়েছিলেন এই নরওয়ের ফরোয়ার্ড। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে।
লন্ডনে সোমবার রাতে 'দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস' বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যেখানে হালান্ডের সঙ্গে তুমুল লড়াই শেষে পুরস্কার জিতে নেন মেসি। দুইজনেরই স্কোরিং পয়েন্ট ছিল ৪৮। তবে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে এগিয়ে থাকায় অষ্টমবারের মতন সেরার মুকুট পরেন মেসি।
ফিফা দ্য বেস্টের রুলস অব অ্যালোকেশনের ১২ নম্বর ধারাতে বলা আছে, দুই বা তার অধিক কারো পয়েন্ট সমান হলে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে যিনি এগিয়ে থাকবেন তাকেই রাখা হবে শীর্ষে। অর্থাৎ জাতীয় দলের অধিনায়কদের প্রথম পছন্দের ভোট (৫ পয়েন্ট) যে বেশি পাবেন, ওপরে থাকবেন তিনি।
এবার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে মোট ১০৭ জন অধিনায়ক ভোট দিয়েছেন মেসিকে। যেখানে কিলিয়ান এমবাপে, মোহামেদ সালাহ, লুকা মদ্রিচ, হ্যারি কেইন, ভার্জিল ফন ডাইক, জন ওবলাক, রবার্ট লেভানদোভস্কি, জিয়ানলুইজি দোনারুমা, সন হিউং-মিন, ক্রিস্তিয়ান পুলিসিক, ফেদেরিকো ভালভার্দে, রোমেলু লুকাকু, অ্যান্ড্রু রবার্টসন, ফ্যালকাও এবং গ্রানিট জাকার মতো তারকা খেলোয়াড়রাও রয়েছেন। বাংলাদেশের জামাল ভূঁইয়াও ভোট দিয়েছেন মেসিকে।
অন্যদিকে হলান্ডের বাক্সে ভোট গিয়েছে ৬৪টি। অর্থাৎ হালান্ডের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সবমিলিয়ে অধিনায়কদের কাছ থেকে ৬৬৭ পয়েন্ট পেয়েছেন মেসি। হালান্ড পেয়েছেন ৫৫৭ পয়েন্ট, তৃতীয় হওয়া এমবাপের পয়েন্ট ২৮২।
অথচ কোচ এবং সংবাদমাধ্যমের ভোটে শীর্ষে ছিলেন হালান্ড। কোচদের বিভাগে মোট ৫৪১ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। মেসি পেয়েছেন ৪৭৬ পয়েন্ট। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভোটে হালান্ডের পয়েন্ট ৭২৯ এবং মেসির ৩১৫ পয়েন্ট। আর সাধারণ ফুটবল ভক্তদের ৬ লাখ ১৩ হাজার ২৯৩ পয়েন্ট মেসির। হালান্ড পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার পয়েন্ট।
Comments