ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসক দম্পতির গৃহকর্মীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসক দম্পতির গৃহকর্মীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে স্বজনের ভিড় | ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক চিকিৎসক দম্পতির গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। স্বজনের অভিযোগ, ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মো. সাইফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই গৃহকর্মীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ওই গৃহকর্মীর বাবা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তার মেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভীপাড়ার গাজী ভবনের ১০ তলায় চিকিৎসক আনিসুল হক ও ইসরাত জাহানের ভাড়া বাসায় আবাসিক গৃহকর্মীর কাজ করতো।

তিনি বলেন, 'বিকেলে ডাক্তার ইসরাতের বাবা বাবুল মিয়া ঢাকা থেকে আমাকে ফোন করে জানান, আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আছে।'

তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'চিকিৎসক দম্পতি প্রায়ই নির্যাতন করতো। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে থাকলে আমাদের ডেকে এনে তার মরদেহ উদ্ধার করতো। তারা নিজেরাই মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। এখন আত্মহত্যার গল্প সাজাচ্ছে।'

হত্যার পরে তারা (চিকিৎসক দম্পতি) বাসা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।

ওই গৃহকর্মীর মা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মেয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। সে সময় তার মেয়ে অভিযোগ করেছিল, তাকে মারধর করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রায় চার বছর আগে তিন হাজার টাকা বেতনে ওই চিকিৎসক দম্পতি তার মেয়েকে ঢাকার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে যান। প্রায় দুই বছর তার মেয়ে ঢাকায় ওই চিকিৎসক দম্পতির বাসায় ছিল। এরপর বদলি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে এলে চিকিৎসক দম্পতির সঙ্গে তার মেয়েও আসে।

এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা চিকিৎসক ইসরাত জাহানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দেখেছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ইসরাত মুখ ঢেকে বেরিয়ে যান। পরে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago