মিউনিখ বিমানবন্দরে আটক আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার

নন্দিত তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। ফাইল ছবি: এএফপি
নন্দিত তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। ফাইল ছবি: এএফপি

ঘোষণা না দিয়ে দামি হাতঘড়ি আনায় জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। প্রায় তিন ঘণ্টা আটক থাকার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

মিউনিখের শুল্ক বিভাগের প্রেস কর্মকর্তা টমাস মেইস্টার সিএনএনকে জানান, জার্মানিতে অবতরণের পর কর ফাঁকি দেওয়ার ফৌজদারি অপরাধের জন্য শোয়ার্জেনেগারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

'তিনি তার সঙ্গে থাকা একটি পণ্যের বিষয়ে ঘোষণা দেননি। এই পণ্যটি (ইউরোপে ব্যবহারের জন্য) ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এবং এই (কর) প্রক্রিয়া সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য', যোগ করেন তিনি।

মেইস্টার আরও জানান, ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর শোয়ার্জেনেগারকে প্রায় তিন ঘণ্টা আটক রাখা হয়। এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হলে তিনি তার গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।

সিএনএন এক শোয়ার্জেনেগারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সুইস বিলাসবহুল অদেমাখ পিগে ব্র্যান্ডের এই ঘড়ির মালিক আর্নল্ড নিজেই। তিনি খুব সম্ভবত আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রিয়ার কিৎজবুহেলে বিক্রির জন্য এটাকে নিলামে তুলবেন।

সূত্রটি বিমানবন্দরে শোয়ার্জেনেগারের তিক্ত অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেন। তার মতে, এই পুরো ঘটনাটি শুল্ক কর্মকর্তাদের অদক্ষতার চূড়ান্ত নিদর্শন এবং তারা অসংখ্য হাস্যকর ভুল করেন।

'আর্নল্ডকে কোনো ঘোষণা ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়নি এবং তিনি শুল্ক কর্মকর্তাদের প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়েছেন', যোগ করেন তিনি।

শোয়ার্জেনেগার ঘড়ির জন্য উপযুক্ত কর দিতে রাজি হন। কিন্তু কর্মকর্তারা এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও ক্রেডিট কার্ড মেশিনের মাধ্যমে কর আদায় করতে পারেনি। এরপর তারা শোয়ার্জেনেগারকে একটি ব্যাংকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে এটিএম থেকে স্থানীয় মুদ্রা তুলে কর পরিশোধ করতে বলেন কর্মকর্তা।

কিন্তু ব্যাংকটি ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে এবং সেই এটিএমের অর্থ উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা কর পরিশোধের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

পরবর্তীতে তিনি বিমানবন্দরে ফিরে আসার পর নতুন শিফটের এক কর্মকর্তা নতুন একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিন নিয়ে আসেন। এই মেশিনটি ঠিকমত কাজ করার পর ছাড়া পান আর্নল্ড।  

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago