তীব্র শীতেও জমে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুমেলা

মধুভক্তদের পদচারণায় মুখরিত সাগরদাঁড়ি। ছবি: সংগৃহীত

হাজারো দর্শনার্থীর পদচারণায় জমে উঠেছে যশোরের কেশবপুরের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়ির মধুমেলা।

তীব্র শীত উপেক্ষা করে মধুভক্তদের পদচারণায় মুখরিত সাগরদাঁড়ি। মহাকবির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের পাড়, বসতভিটা, বিদায় ঘাট, কাঠবাদাম গাছতলা ও মধুমেলা প্রাঙ্গণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সাগরদাঁড়িতে শুরু হয়েছে নয় দিনের মধুমেলা। আজ বৃহস্পতিবার ছিল মেলার সপ্তম দিন।

মধুমেলায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য মধুমঞ্চে শিল্পীগোষ্ঠীসহ দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের আলোচনা, কবিতা, সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি রয়েছে সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনী। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলাসহ নানা আয়োজন।

মেলার মাঠে দেখা মিলবে পাঁচ শতাধিক পণ্যের পসরা, বাহারি মিষ্টির দোকান, হরেক রকমের চা, ফুচকা-চটপটি, আচার ও মোয়া-মুড়ির। কপোতাক্ষ নদ পাড়ে কবির স্মৃতি বিজড়িত কাঠবাদাম গাছতলায় আন্ডারগ্রাজুয়েট নামে একটি চায়ের দোকানে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে মেলা দেখতে আসা আয়শা বেগম জানান, মেলার পরিবেশ তার ভালো লাগছে।

সাতক্ষীরার মুজিবুর রহমানের ভাষ্য, 'সারাদিন কপোতাক্ষ নদের পাড়, মেলার মাঠ, মধুমঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাকে মুগ্ধ করেছে। মধুমেলা আমার প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে।'

ফরিদপুরের আহসানুর রহমান বলেন, 'মধুমেলার কথা শুনেছি অনেক, কিন্তু আগে কখনো আসা হয়নি। এবার এসে ভালো লাগছে।'

মধুমেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিনে নারী দর্শনার্থী এবং রাতে পুরুষ দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি থাকে। নারীদের ক্রয় তালিকায় বেশি জায়গা পাচ্ছে সাংসারিক নানা পণ্য আর সন্তানদের খেলার সামগ্রী।

সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুভাষ দেবনাথ বলেন, 'মধুমেলা উপলক্ষে সাগরদাঁড়ি গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজনরা বেড়াতে আসছেন। এবার কবির ২০০তম জন্মবার্ষিকী হওয়ায় মেলা সাত দিন থেকে বাড়িয়ে নয় দিন করা হয়েছে এবং মানুষও ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে আসছেন।'

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন বলেন, 'সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মেলা চলছে। নয় দিনব্যাপী মেলা চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।'

Comments

The Daily Star  | English

CA’s special aide questions IMF, World Bank role in 15 years of graft

Global lenders extended loans without questioning the environment before the July revolution, he says

1h ago