গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ান লেখককে মৃত্যুদণ্ড দিল চীনের আদালত

লেখক ইয়াং হেনজুন। ছবি:সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ান লেখক ইয়াং হেনজুনকে বেইজিংয়ের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে। এ রায়ের পর অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল সরকার ক্যানবেরায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে 'আপত্তি' জানাতে তলব করেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং গতকাল সোমবার বেইজিং আদালতে হেনজুনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার কথা গণমাধ্যমকে জানান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার সরকার এই রায়ে হতবাক।'

'আমি আমার বিভাগের সচিবকে এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগ জানাতে চীনা রাষ্ট্রদূতকে ফোন করার নির্দেশ দিয়েছি,' বলেন পেনি ওং।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আপিল করা হবে। সেই আপিল বিকল্প হিসেবে প্রভাবিত করতে পারে, নাও পারে।'

'তবে অস্ট্রেলিয়া চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করবে না,' যোগ করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হেনজুন ইয়াং একাধারে প্রগতিশীল লেখক এবং গণতন্ত্রপন্থী সংগঠক। 

ইয়াংকে ২০১৯ সালের আগস্টে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বেইজিংয়ের একটি কারাগারে তিনি ৪ বছরের বেশি সময় কাটাচ্ছেন।

২০২১ সালে ইয়াং হেনজুনের বিরুদ্ধে চীনা আদালত অভিযোগ গঠন করে। অভিযোগে বলা হয়, ইয়াং অস্ট্রেলিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থার মিশনের মাধ্যমে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। এই অপরাধে তিন বছরের জেল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সাজা দেওয়ার আইনি বিধান আছে।

ইয়াং অবশ্য গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন। আটক হওয়ার আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় চীন সরকারের সমালোচনামূলক মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রতিটি সুযোগে এবং সর্বোচ্চ স্তরে চীনের সাথে ইয়াংয়ের পক্ষে 'ওকালতি' করেছে। আমরা ক্রমাগত আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং চীনের আইনি বাধ্যবাধকতা অনুসারে ইয়াংয়ের জন্য ন্যায়বিচারের মৌলিক মান, পদ্ধতিগত ন্যায্যতা এবং মানবিক আচরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছি।'

ইয়াংয়ের পরিবারের এক মুখপাত্র বলেন, 'তিনি জেলে আছেন কারণ তিনি সত্য, গণতন্ত্র, যুক্তিবাদী ধারণার সম্মানজনক প্রতিনিধিত্ব করেন।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

14h ago