পাকিস্তানে নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ পুলিশসহ নিহত ৫

পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

আজ পাকিস্তানে শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের পুরো সময় জুড়ে সহিংসতার অব্যাহত ধারায় আজ অন্তত পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান রাউফ কাইসরানি জানান, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় টহলরত পুলিশের ওপর জঙ্গিরা হামলা চালায়। বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির আঘাতে অন্তত চারজন পুলিশ নিহত হয়েছেন।

৪০ কিলোমিটার উত্তরে একটি নিরাপত্তা বাহিনীর ট্যাংকের ওপর অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি চালালে অপর এক ব্যক্তি নিহত হন।

বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেড হামলার কথা জানা গেছে।

মাকরান বিভাগের কমিশনার সাইদ আহমেদ উমরানি রয়টার্সকে জানান, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটায় ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে হাজারো সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে স্থল বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাময়িকভাবে দেশটিতে মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে পৃথক দুটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২৮ জন নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে। পরবর্তীতে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় নেন।

মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। পাকিস্তানের পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (৩৫) 'শিগগির নেটওয়ার্ক' পুনস্থাপনের দাবি জানান।

কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে অনুরোধ জানিয়েছে সবাইকে ওয়াইফাই থেকে পাসওয়ার্ড সরিয়ে নিতে, যাতে 'এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিনে' সবাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায়।

আজ স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা)। প্রাথমিক ফল ভোটগ্রহণের দুই তিন ঘণ্টা পর জানা যেতে পারে। তবে পূর্ণাঙ্গ ফল জানতে শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

7h ago