ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ‘বাংলার টেসলা’: নসরুল হামিদ

নসরুল হামিদ
নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে 'বাংলার টেসলা' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাটারিচালিত এই যানবাহন সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই তিন চাকার যানকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ এ কথা বলেন। শামীম ওসমান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবি জানালে মন্ত্রী এগুলোকে উৎসাহিত করার কথা বলেন।

সম্পূরক প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে। রিকশার সঙ্গেও ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপজ্জনক। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চুরি করে অটোরিকশাগুলো চার্জ করা হয়। এতে ৭০০-৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। এগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।

জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, সারা বিশ্বে এখন বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লব চলছে। তেলচালিত গাড়ির ইঞ্জিনের দক্ষতার মাত্রা হলো ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ইলেকট্রিক যন্ত্রের দক্ষতা ৮০ শতাংশ। বাজারে যত দ্রুত সম্ভব ইলেকট্রিক গাড়ি আনতে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।

তিনি জানান, তেলচালিত বাহনে কোনো দূরত্ব যেতে যদি ১০০ টাকা লাগে, বিদ্যুৎচালিত যানে সেই দূরত্ব যেতে লাগবে ২০ টাকা। বাংলাদেশে ৪০ লাখের ওপর যানবাহন আছে যেগুলো লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি ব্যবহার করে। এগুলো চার্জ করতে সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগে। এগুলো যদি লিথিয়াম ব্যাটারির হয়, তাহলে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জিং স্টেশন বসানোর নীতিমালা করেছে। এ নীতিমালা মেনে যে কেউ চাইলে চার্জিং স্টেশন করতে পারবেন।

নসরুল হামিদ বলেন, এই ৪০ লাখ থ্রি হুইলারকে আমি বলি 'বাংলার টেসলা'। উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে তারা নিজ হাতে এই যানবাহন তৈরি করছেন। আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না। যান্ত্রিকভাবে এতে ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ যেটা ব্যবহার করছে তার রিটার্ন কিন্তু অনেক বেশি। এই ৪০ লাখ রিকশাচালক যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন তারা অবশ্যই আয় করছেন। লেড ব্যাটারি থেকে তারা যেন লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলে আছে সেটা নিয়ে আমরা একটা প্রকল্প করছি। লেড ব্যাটারি নিয়ে তাদের লিথিয়াম ব্যাটারি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে যত পাবলিক পরিবহন (বাস) আছে। সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে বৈদ্যুতিক করা উচিত। এগুলো পরিবেশবান্ধব এবং খরচও কম। বাংলাদেশের পরিবহন খাত ১৮ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে। তবে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার উদ্বেগের। আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত। বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ওপর নজর রাখছে। বেশিরভাগই এখন অবৈধভাবে বিদ্যুৎ না নিয়ে মিটারের মাধ্যমে নিচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Election Roadmap: BNP unhappy as Yunus gives no specific timeline

The election must be held by December, as any delay could cause the situation to spiral out of control, the BNP said after a meeting with the chief adviser yesterday.

7h ago