সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর ঝড়ে নাকাল ঢাকার বিপিএলে টানা হারের রেকর্ড

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৯ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরলেন তামিম ইকবাল, আহমেদ শেহজাদ ও মুশফিকুর রহিম। সেই বিপর্যয় সামলে পাল্টা আক্রমণে ঝড় তুললেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চড়াও হয়ে দুজনই করলেন হাফসেঞ্চুরি। তাদের শতরানের জুটিতে বড় পুঁজি পেল ফরচুন বরিশাল। জবাবে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দুর্দান্ত ঢাকা জমাতেই পারল না লড়াই। হারের বৃত্তে বন্দি দলটি গড়ল বিপিএলের ইতিহাসে বিব্রতকর একটি রেকর্ড।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকাকে ৪০ রানে হারিয়েছে বরিশাল। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে তারা। এরপর প্রতিপক্ষকে ২ বল বাকি থাকতে অলআউট করে দেয় ১৪৯ রানে।

এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শিরোপাধারী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে জয়ের পর এই নিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হারল ঢাকা। বিপিএলের ইতিহাসে টানা এতগুলো ম্যাচ হারেনি আর কোনো দল। ফলে ১২ বছর পর বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি মিলল সিলেট রয়্যালসের। ২০১২ সালে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসরে শুরুর টানা ৭ ম্যাচ হেরেছিল দলটি।

নয় ম্যাচে স্রেফ এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে চলতি বিপিএলে সবার নিচে আছে ঢাকা। এক ম্যাচ কম খেলা বরিশাল চতুর্থ জয় পেয়েছে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত দলের আসরের পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে তারা।

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক তামিমকে হারায় বরিশাল। শরিফুল ইসলামের শিকার হন তিনি। পরের ওভারে পাঁচ বলের মধ্যে শেহজাদ ও মুশফিককে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু বল হাতে এই সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে পারেনি ঢাকা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বরিশাল ঘুরে দাঁড়ায় সৌম্য ও মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে। পাল্লা দিয়ে যেন বাউন্ডারি মারতে থাকেন দুজন।

৩২ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন বাঁহাতি সৌম্য। ডানহাতি মাহমুদউল্লাহ হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৩৭ বলে। তাদের জুটি শতরান স্পর্শ করে স্রেফ ৬৬ বলে। ১৭তম ওভারে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন শরিফুল। থামে ৮৫ বলে ১৩৯ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ ৭৩ রানে আউট হন। ৪৭ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৭ চার ও ৪ ছক্কা। সৌম্য অপরাজিত থেকে যান ৪৮ বলে ৭৫ রানে। তিনি হাঁকান ৪ চার ও ৬ ছক্কা। শেষদিকে অপরাজিত ক্যামিও খেলেন শোয়েব মালিক। ১০ বলে ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেনি ঢাকার টপ অর্ডার। সাব্বির হোসেন, নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান ফেরেন অল্পতে। চতুর্থ উইকেটে অ্যালেক্স রস ও এসএম মেহেরবের জুটি আভাস দিয়েও বড় হয়নি। এরপর আবার ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল নামে। অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক তাসকিনের সঙ্গে রসের ১২ বলে ৩৪ রানের জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমায়।

একাই লড়াই চালানো রস ১৯তম ওভারে বিদায় নেন ৫২ রানে। ৩০ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৫ চার ও ৩ ছক্কা। তাকে আউট করা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এই ম্যাচে বরিশালের সেরা বোলার। তিনি ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওবেদ ম্যাককয় দুটি করে শিকার ধরেন।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

9h ago