নান্নু-বাশারকে ‘হারাতে চায় না’ বিসিবি, থাকছেন নতুন ভূমিকায়

টানা ৮ বছর ধরে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, তার সঙ্গে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে তারা এখন সাবেক। তবে বিসিবির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক শেষ হচ্ছে না।
minhajul abedin nannu and habibul bashar SUmon

টানা ৮ বছর ধরে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, তার সঙ্গে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে তারা এখন সাবেক। তবে বিসিবির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক শেষ হচ্ছে না। এই দুই সাবেক অধিনায়ককে অন্য ভূমিকায় রাখার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

গত ৩১ ডিসেম্বরে নির্বাচক হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় নান্নুর কমিটির। কিন্তু বোর্ডের সিদ্ধান্তে দেরিতে মেয়াদেরও পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। সোমবার বোর্ড সভায় নির্বাচক প্যানেল পুনর্গঠন ছিলো বড় এজেন্ডা। নান্নুকে সরিয়ে সেখানে চমক হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। সরিয়ে দেওয়া হয় বাশারকেও। তার জায়গায় যোগ করা হয় হান্নান সরকারকে। আগের কমিটি থেকে কেবল আব্দুর রাজ্জাক টিকে যান।

২০১১ সালে নির্বাচক কমিটিতে আসেন নান্নু। তখন আকরাম খানের অধীনে কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে তাকে করা হয় প্রধান নির্বাচক, তার সঙ্গে যোগ দেন হাবিবুল। এই জুটি লম্বা সময় ধরে কাজ করছিল।

দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অবশ্য নানান সময়েও সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন নান্নু। তবে বিসিবি মনে করে তারা দারুণ কাজ করেছেন, সব বোর্ড পরিচালকই তাতে একমত। বোর্ড প্রধান জানান, এজন্য তাদের জন্য বিসিবিতে জায়গা তৈরি করা হচ্ছে, 'অবশ্যই অবশ্যই (বোর্ডেই থাকবেন তারা)। আমরা সবাই তাদের কাজের প্রশংসা করেছি, তাদের অবদান আমাদের ক্রিকেটে। আমরা সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেছি তাদের জন্য খুবই খুশি আমরা। তাদের আমরা হারাতেও চাই না। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদেরকে বোর্ডের জুতসই জায়গায় নিয়ে যাব।'

নতুন নির্বাচক হওয়া লিপু এক সময় ছিলেন বোর্ড পরিচালক। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের মতন বড় পদ সামলেছেন তিনি, যে পদের অধীনেই কাজ করেন নির্বাচকরা। এবার ৬৩ পেরুনো লিপুই সামলাবেন নির্বাচকের ভূমিকা।

Comments

The Daily Star  | English

Sea-level rise in Bangladesh: Faster than global average

Bangladesh is experiencing a faster sea-level rise than the global average of 3.42mm a year, which will impact food production and livelihoods even more than previously thought, government studies have found.

9h ago