জীবনের নানা ধাপের সংগ্রাম জয়সওয়ালকে চিনিয়েছে ছুটে চলার পথ
বয়স মাত্র ২২ পেরিয়েছে। এরমধ্যে আলো ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছেন যশভি জয়সওয়াল। স্রেফ ৭ টেস্ট খেলেছেন, এরমধ্যে করে ফেলেছেন দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি, আরেকটা ইনিংস আছে দেড়শো ছাড়ানো। বাঁহাতি ব্যাটার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোববার আগ্রাসী ডাবল সেঞ্চুরিতে গড়েছেন ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড। ম্যাচ শেষে এই তরুণ জানালেন, ভারতে সংগ্রামমুখর জীবনের নানান ধাপ তাকে শিখিয়েছে কীভাবে ডানা মেলে ছুটতে হয়।
রাজকোটে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৪৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় ভারত। এমন জয়ে সেঞ্চুরি ও ৭ উইকেট নিয়ে রবীন্দ্র জাদেজা ম্যাচ সেরা হলেও বড় অবদান জয়সওয়ালের।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রান করে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ছড়ান দ্যুতি। ২৩৬ বলে ১৪ চার, ১২ ছক্কায় করেন অপরাজিত ২১৪। টেস্ট সর্বোচ্চ ছক্কায় ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত তার রেকর্ড ভীষণ উজ্জ্বল। ৮৬১ রান করে ফেলেছেন ৭১.৭৫ গড়ে।
এত অল্প বয়েসে এমন ব্যাটিং, এত পরিপক্বতার ছাপ কীভাবে রাখছেন এমন প্রশ্নে জয়সওয়াল টানলেন ভারতে বেড়ে উঠার বাস্তবতার দিক, 'ভারতে বেড়ে উঠলে সব কিছুই কঠোর পরিশ্রম করে অর্জন করতে হয়। এমনকি বাস, ট্রেন, অটোরিকশায় উঠতেও কঠোর পরিশ্রম দরকার। আমি ছোটবেলা থেকেই তা করছি। আমি জানি প্রতিটা ইনিংস কত গুরুত্বপূর্ণ, অনুশীলনে তাই কঠোর পরিশ্রম করি।'
'প্রতি ইনিংস আমার নিজের ও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটাই আমার কাছে বড় প্রেরণা। যেখানেই থাকি আমি নিশ্চিত করতে চাই যেন শতভাগ দিতে পারি।'
তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরির পর পিঠের ব্যথায় ব্যাটিং ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন। পরের দিন নামতে পারবেন কিনা ছিলো অজানা। নেমেই পরে এমন ব্যাটিং করলেন তাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। জয়সওয়াল জানতেন দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করতে পারলে দল থাকবে সেরা অবস্থায়, 'পিঠে বেশ অস্বস্তি হচ্ছিলো, আমি থামতে চাইনি (আহত অবসর, কিন্তু খেলাটা কঠিন ছিলো। পরের দিন কীভাবে সব এগুবে আমি জানতাম না। পরে যখন আবার নামলাম ভালো অনুভব করলাম।'
'গত ম্যাচগুলোতে দেখেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং কত গুরুত্বপূর্ণ। আমি চেষ্টা করছিলাম যেন খেলাটা চালিয়ে যেতে পারি। এটা কঠিন ছিলো কারণ এটা টেস্ট ক্রিকেট। আমি শতভাগ দেওয়া নিশ্চিত করতে চেয়েছি।'
Comments