ক্রিকেট

হেড-কামিন্স-জাম্পার দ্যুতিতে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

শুক্রবার অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়েছে অজিরা। আগে ব্যাটিং পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার করা ১৭৪ রানের জবাবে টেনেটুনে তিন অঙ্ক ছাড়িয়েই থামে স্বাগতিক দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুটিই জিতে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে সফরকারীদের। 
Australia Team

ট্রেভিস হেডের উড়ন্ত শুরুর পর পথ হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে দলকে জুতসই পুঁজি পাইয়ে দিতে অবদান রাখেন প্যাট কামিন্স। পরে বল হাতেও তিনি রাখেন ভূমিকা। নিউজিল্যান্ডকে উড়তে না দিয়ে লেগ স্পিনে ঝলক দেখান অ্যাডাম জাম্পাও। সম্মিলিত প্রয়াসে বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।

শুক্রবার অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়েছে অজিরা। আগে ব্যাটিং পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার করা ১৭৪ রানের জবাবে টেনেটুনে তিন অঙ্ক ছাড়িয়েই থামে স্বাগতিক দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুটিই জিতে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে সফরকারীদের।  

১৭৫ রানের লক্ষ্যে  নেমে পাওয়ার প্লের ভেতরেই ফিন অ্যালেন, উইল ইয়ং, মিচেল স্যান্টনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লের পর পরই ফেরেন মার্ক চাপম্যান। জশ হ্যাজেলউড, ন্যাথান এলিস, কামিন্সদের তোপে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে যায় কিউইরা। এই বিপদ থেকে তারা আর উদ্ধার হতে পারেনি।

জশ ক্লার্কসেনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। তাদের জুটি ৩২ বলে ৪৫ তোলার পর আঘাত হানেন জাম্পা। এরপর থেকে টানা উইকেট নিতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে ৮৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশোর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্ট কিছু রান করে দলকে একশো পার করালেও ম্যাচে তার প্রভাব ছিলো না। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জাম্পাই মূল হন্তারক। হ্যাজেলউড ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। কামিন্সের ৩ ওভার থেকে ১৯ রান নিয়ে ১ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এছাড়া ন্যাথান এলিস ১৬ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু পেয়েছিলেন হেড। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ২.১ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩২ রান। ৭ বলে ১১ করে হেডের বিদায়ের পর অধিনায়ক মিচেল মার্শের সঙ্গে ফিফটি ছাড়ানো জুটি পান হেড। ২১ বলে ২৬ করে করে মার্শ আউট হলে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে নামে ধস। মিডল অর্ডারে রান পাননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জশ ইংলিস। ২২ বলে ৪৫ করে কাজ অসমাপ্ত রেখে ফেরেন হেডও। টিম ডেভিড থিতু হতে সময় নিয়ে ইনিংস টানতে পারেননি। ১৩৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সফরকারীরা। কিন্তু এলিসের সঙ্গে ২৮ বলে ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে দলকে খেলায় ফেরান কামিন্স। এনে দেন ১৭৪ রানের বড় পুঁজি। যা নিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচ জিতল অনায়াসে।

Comments

The Daily Star  | English

For now, battery-run rickshaws to keep plying on Dhaka roads: Quader

Road, Transport and Bridges Minister Obaidul Quader today said the battery-run rickshaws and easy bikes will ply on the Dhaka city roads

1h ago