১৬ সফল আর্টিমিয়া চাষিকে পুরস্কৃত করল ওয়ার্ল্ডফিশ

বর্তমানে কক্সবাজারে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া উৎপাদিত হচ্ছে।
১৬ সফল আর্টিমিয়া চাষিকে পুরস্কৃত করল ওয়ার্ল্ডফিশ

আর্টিমিয়া চাষে সফল হওয়ায় ১৬ জন আর্টিমিয়া চাষিকে পুরস্কৃত করেছে ওয়ার্ল্ডফিশ। এছাড়া, তারা উন্নত পদ্ধতিতে মাছ ও চিংড়ি চাষেও সফল হয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিশ বাস্তবায়িত আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত বার্ষিক কর্মশালা শেষে তাদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার আব্দুর রউফ ও বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক জুলফিকার আলী এই পদক তুলে দেন।

প্রসঙ্গত, ক্রাস্টেয়ান এবং সামুদ্রিক মাছের লার্ভা পালনের জন্য অপরিহার্য জীবন্ত খাদ্য ব্রাইন চিংড়ি বা আর্টিমিয়া।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ও ওয়ার্ল্ডফিশের আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় ২০২১ সাল থেকে 'আর্টিমিয়া' চাষ শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া উৎপাদিত হচ্ছে।

গত বছর ওই এলাকার চাষিরা তিন দশমিক তিন মেট্রিক টন আর্টিমিয়া উৎপাদন করেছেন। চলতি বছর উৎপাদন পাঁচ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত পদ্ধতিতে চিংড়ি ও তেলাপিয়া এবং সবজি চাষের মাধ্যমে চাষিদের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে উৎপাদিত আর্টিমিয়া চিংড়ি হ্যাচারি ও নার্সারির জন্য সহজলভ্য হলে বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরশীলতা কমানো যাবে।

Comments