'চেহারা দেখে বুঝতে পারছেন কী রকম আছি'
এর আগে অনেকবারই বলেছেন খুব বেশি আবেগ কাজ করে না জাকের আলীর। এমনকি জাতীয় দল নিয়েও খুব বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। কিন্তু আসলেই কী জাতীয় দলের হয়ে 'প্রথমবার' খেলতে গেলে আবেগ লুকিয়ে রাখা যায়? তার উপর আবার এমন ইনিংসের পর। সেই উত্তরটা তার চেহারা দেখেই বুঝে নিতে বলেছেন জাকের।
অভিষেকটা আগে হলেও মূল জাতীয় দলে খেলার সুযোগটা আগের দিনই প্রথম পেয়েছিলেন জাকের। এর আগে যেবার অভিষেক হয় সেবার এশিয়া কাপের মঞ্চে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। আর মূল দলে প্রথম সুযোগেই ৩৪ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক একটি ইনিংস খেলে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে দলকে প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন জাকের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। যে কারণে ম্যাচ শেষে ম্লানই ছিল এই তরুণের মুখ।
তার উপর কদিন আগে বিপিএলের ফাইনালে হেরেছে জাকেরের দল। সবমিলিয়ে জাকেরের অভিব্যক্তি, 'আমার চেহারা দেখে কিন্তু বুঝতে পারছেন আমি কী রকম আছি। হার সব সময়ই বেদনার। বিপিএলের ফাইনাল হেরে এসেছি। রাতে ঘুম হয়নি। দেশের হয়ে জিততে পারলে আরেকটু ভালো লাগত। আমি ভেঙে পড়ব না। কীভাবে জেতা যায় পরের ম্যাচ। এই ম্যাচে আমাদের পাওয়ার অনেক কিছু আছে। খাতা কলম নিয়ে নোট করতে বসলে দল হিসেবে অনেক প্রাপ্তি আছে।'
তবে এমন ইনিংসের পর জয় না পাওয়ার আক্ষেপ লুকাতে পারেননি জাকের, 'যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম, ১০-১২ রান করেও যদি ম্যাচ জিততে পারতাম আমার কাছে বেশি খুশি লাগত। ভালো খেলেছি আলহামদুলিল্লাহ। ম্যাচ জিতলে আরও খুশি হতাম।'
এদিন অবশ্য খেলারই কথা ছিল না জাকেরের। আলিস আল ইসলামের ইনজুরিতে জায়গা মিলে যায় তার। এবার সুযোগ আসতে পেরে তা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছ থেকে আগেই ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তিনি। আর সে অনুযায়ী নিজেকে আগেই প্রস্তুত রেখেছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
'আমি সবাইকেই বলতাম, আল্লাহ তায়ালা যখন আমার জাতীয় দলে খেলার সময় লিখে রেখেছেন, আমি তখন এমনিতেই খেলতে পারব। আমার সুযোগ এসেছে। মানসিকভাবেও প্রস্তুত ছিলাম। আলিসের যখন ইনজুরি হলো, প্রস্তুত ছিলাম। শান্ত আমার সাথে কথা বলেছিল যে তোর কিন্তু যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকিস। আমার সাথে আগেই কথা হয়েছিল। তো আমি প্রস্তুত ছিলাম,' বলেন জাকের।
Comments