নাটোরে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা, নেই অভিযুক্ত ২ কনস্টেবলের নাম

শিশু চুরি
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পথরোধ করে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। 

কিন্তু মামলার এজাহারে নেই গত রোববারের ওই মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলের নাম।

সোমবার মামলা করার পর প্রধান আসামি মাহাবুর রহমান বিদ্যুতকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে রোববার উপজেলার রহিমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক বাদল উদ্দিন স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেলে নাটোর শহরের বাসায় ফেরার সময় তার পথ রোধ করেন কনস্টেবল সজিব হোসেন ও কনস্টেবল মো. আসাদুজ্জামান এবং পুলিশের সোর্স বিদ্যুৎ।

তারা ওই শিক্ষককে মারধর করে, হাতকড়া পরিয়ে দেয় এবং তার কাছে মাদক আছে দাবি করে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় ওই দুই কনস্টেবলকে সোমবার প্রত্যাহার করা হলেও, ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদল উদ্দিনের করা মামলায় নেই তাদের নাম।

বাদল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি নান্নু খান দুই কনস্টেবলের নাম বাদ দিয়ে মাবাবুর রহমান বিদ্যুৎ এবং কাউসার আলীর নামে মামলা করার পরামর্শ দেন। ওসি বলেছেন যে, ওই দুই কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করা হবে, বিভাগীয় মামলা হবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার দরকার নেই।'

'ওসির কথা শুনে আমার স্বজনরাও পুলিশের নাম বাদ দিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। সে কারণে পুলিশ সদস্যদের নাম বাদ দিয়ে মামলা দায়ের করেছি,' বলেন তিনি।

মামলা থেকে পুলিশ সদস্যের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাদী যেভাবে অভিযোগ করেছে সেভাবেই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগ সত্য নয়। বাদী যখন মামলা করতে থানায় আসেন, তখন আমি ছিলাম না।'

যোগাযোগ করা হলে নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাদীর টাইপ করা এজাহার পেয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বাদী যেভাবে অভিযোগ করেছে, সেভাবেই মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মামলায় প্রত্যাহারকৃত কনস্টেবলদের নাম না থাকায় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নাটোর জেলা সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ কনস্টেবলরা এমন অপরাধ করার পরও যদি শাস্তি না পায়, তাহলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে। পুলিশ সদস্য অপরাধ করার পর যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করে তাহলে কেউ নিরাপদ থাকতে পারবে না। সাধারণ মানুষ তাহলে কোথায় যাবে?'

 

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares 3 new days for nat’l observance

The interim government yesterday declared August 5 as “July Mass Uprising Day” to commemorate the student-led protests that toppled the Sheikh Hasina regime that day last year.

7h ago