‘অনেকদিন ধরে একটা জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করছি’

Najmul Hossain Shanto
নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব পেলেও ব্যাটে রান খরায় অস্বস্তিতে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিপিএলে চরম ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি।  দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি করে দলকে জেতানোর পর বেশ নির্ভার এখন বাঁহাতি ব্যাটার। ম্যাচ সেরা হয়ে জানালেন ব্যাটিংয়ের ঘাটতি পূরণের জন্য একটা টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি।

বিপিএলে টানা ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৪.৫৮ গড় আর স্রেফ ৯৩.৫৮ স্ট্রাইকরেটে মোটে ১৭৫ রান করেন শান্ত। একটাই ফিফটি আসেনি তার ব্যাটে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও ফিফটি পাননি ১১ ম্যাচ। এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপও ভুলে যাওয়ার মতন যায় শান্তর।

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ১৬৫ রান টপকাতে ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন শান্ত। জানালেন ঘাটতি নিয়ে কাজ করে নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন তিনি,   'হ্যাঁ বিপিএলটা ভালো যায়নি। চেষ্টা করছি ব্যাটিংয়ে যে ঘাটতি ছিল সেটা নিয়ে কাজ করার। আজকে একটু ভালো হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব সামনে এটা ধরে রাখার।' 

'আমি ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছিলাম। কী নিয়ে কাজ করছিলাম তা বলতে চাই না টেকনিক্যাল বিষয়। কাজ করাতে যে আজকের ম্যাচে ফল এসেছে এমন কিছু না। অনেক দিন থেকেই একটা জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করছি। আরও একটু ভালো করতে হবে।' 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১১ ম্যাচ পর ফিফটি পান শান্ত। পুরো বিপিএলে ফিফটি তো দূরে থাক মারতে পারেননি একটি ছক্কাও। চরম রান খরা কাটার দিনে ফিফটি ও দুই ছক্কা এসেছে। তবে শান্ত মনে করেন দলের চাহিদা পূরণ করতে পারাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, '১১ ম্যাচ পরে করলাম। ৫০ করাটা গুরুত্বপূর্ণ না, আমার কাছে মনে হয় দলের জন্য যে রানটা করেছি তা কতটা ইফেক্টিভ। করতে পেরেছি খুবই ভালো লাগছে। ভালো লেগেছে যে খেলাটা শেষ করতে পেরেছি। চেষ্টা করব সামনে এটা ধরে রাখার।'

'আপনাদের মাধ্যমেই জেনেছি (বিপিএলে একটাও ছক্কা না মারা)। নিজেও জানতাম না। অনেক সময় আসলে কখন ব্যাট করছি কত স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছি তা জরুরি। বিপিএলে আমি সংগ্রাম করেছি, স্ট্রাইকরেট ভালো ছিল না।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

7h ago