মার্শ-কেয়ারির দুর্দান্ত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার রোমাঞ্চকর জয়
আগের দিন বিকেলে ম্যাচ অনেকটা মুঠোয় চলে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। চতুর্থ দিনে স্বাগতিকরাই ছিলো পরিষ্কার ফেভারিট। তবে কিউইদের মুঠো থেকে দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচটা নিয়ে আসেন মিচেল মার্শ-আলেক্স কেয়ারি। দুজনের দুর্দান্ত দুই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে রোমাঞ্চকর জয়।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সফরকারীরা জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। ২৭৯ রান তাড়ায় নেমে আগের দিন ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অজিরা। চতুর্থ দিন সকালে ৮০ রানে পড়ে ৫ উইকেট। এরপর ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক জুটিতে ম্যাচ নিয়ে আসেন মার্শ-কেয়ারি। মার্শ ৮০ করে আউট হওয়ার পর প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ৬৪ বলে ৬১ রানের জুটিতে কাজ সারেন কেয়ারি। ১২৩ বলে ১৫ চারে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
৪ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন অজি ইনিংসে হানা দিয়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়েছিলেন ম্যাট হেনরি-বেন সিয়ার্স। ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়া হেনরি এদিন ছিলেন নিষ্প্রভ। সিয়ার্স উইকেট পেলেও যথেষ্ট হয়নি।
দিনের প্রথম উইকেট নেন অধিনায়ক টিম সাউদি। ট্রেভিস হেডকে ফিরিয়ে দলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরের লম্বা সময় হতাশায় পুড়তে হয় তাকে।
মার্শ-কেয়ারি মিলে ক্রমশ খেলার বাইরে ছিটকে দিতে থাকেন কিউইদের। ২২০ রানের মাথায় ৮০ করা মার্শকে এলবিডব্লিউতে ফেরানোর পরের বলে মিচেল স্টার্ককে আউট করে আশা জাগিয়েছিলেন সিয়ার্স। কিন্তু লাভ হয়নি। কেয়ারির সঙ্গে দাঁড়িয়ে যান কামিন্স। ৪৪ বলে ৩২ করে কিপার-ব্যাটারকে সঙ্গ দেন তিনি।
এই টেস্টে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় পিছিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তারা গুটিয়ে গিয়েছিল ১৬২ রানে। পরে হেনরির ৭ শিকারে অস্ট্রেলিয়াকে ২৫৬ রানে আটকে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায়। চার ফিফটিতে ৩৭২ করে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে পেরেছিল। হেনরি-সিয়ার্স মিলে পুঁজিটা সামলে জেতার আভাসও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু চতুর্থ দিনে হিসাব বদলে দেন কেয়ারি-মার্শ।
Comments