নোংরা পরিবেশে খাবারের পাশে তৈরি হচ্ছিল টয়লেট ক্লিনার, কারখানা সিলগালা

নোংরা পরিবেশে খাবারের পাশে তৈরি হচ্ছিল টয়লেট ক্লিনার, কারখানা সিলগালা
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার আলিফনগর এলাকায় আবিদ ফুড প্রোডাক্টসের কারখানা সিলগালা করে দেয় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

অনুমোদন না নিয়ে নোংরা পরিবেশে পাশাপাশি খাদ্যপণ্য ও টয়লেট ক্লিনার উৎপাদন করায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএসটিআই পূর্ব বাড্ডার আলিফনগরে আবিদ ফুড প্রোডাক্টসের কারখানাতে অভিযান পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা।

নোংরা পরিবেশে খাবারের পাশে তৈরি হচ্ছিল টয়লেট ক্লিনার, কারখানা সিলগালা
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

অভিযানে দেখা যায়, আবিদ ফুড প্রোডাক্টস অনুমতি না নিয়েই সফট ড্রিংকস পাউডার, চিপস, চানাচুর, ললিপপ তৈরি করে আসছিল। সফট ড্রিংকস পাউডার তৈরিতে ব্যবহৃত রঙের ফুড গ্রেড সংক্রান্ত কোনো নথি দেখাতে পারেননি প্রতিষ্ঠান মালিক।

চানাচুর ভাজার কড়াইয়ে তেলের মধ্যে পড়ে ছিল মশা-মাছি। খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি উৎপাদন করা হচ্ছিল ডিটারজেন্ট ও টয়লেট ক্লিনার পণ্য।

বিএসটিআই কর্মকর্তারা বলেন, খাদ্যপণ্য তৈরি করার জন্য যে পরিবেশ দরকার, এখানে সেই পরিবেশ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত; নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি করা হচ্ছিল।

সাবরিনা বলেন, 'আমরা একাধিক পণ্য পেয়েছি যেগুলোর বিএসটিআই অনুমোদন নেওয়া হয়নি। যে মোড়কগুলো তারা ব্যবহার করছে, এগুলোর বেশিরভাগই বাজারে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো নকল করে প্রস্তুত করেছে। সেটাও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে।'

তিনি বলেন, 'দুটি আইনে আমি অপরাধ আমলে নিয়েছি এবং মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আলামতগুলো আমরা জব্দ করে নিয়ে যাচ্ছি এবং কারখানাটি সিলগালা করে দিয়ে যাচ্ছি।'

যে পরিবেশে খাবার উৎপাদন করা হচ্ছে তাতে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে। এত বড় অপরাধের শাস্তি কেবল এক লাখ টাকা জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে কি না জানতে চাইলে সাবরিনা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'উনি (প্রতিষ্ঠান মালিক) বলেছেন, শিগগির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন। উনি আইন অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, ক্ষমাও চেয়েছেন। আমরা চাই উনি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করুক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করুক। উনি যে অনুরোধটা আমাদের করেছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন, ওই বিষয়টাও আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

7m ago