১০ বছর পর কাপুয়া নদীর গতিপথ ঠিক করল ভ্রাম্যমাণ আদালত

অবশেষে ১০ বছর পর কুলাউড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত স্বপ্রোনদিত হয়ে বাঁধটি অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কৌলা গ্রামের কাপুয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার ও ক্ষেতের উর্বর মাটি বহন করা হচ্ছিল। এতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টির পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছিল।

অবশেষে ১০ বছর পর কুলাউড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত স্বপ্রোনদিত হয়ে বাঁধটি অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, উপজেলার রাওতগাও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামের মনাফ মিয়া নদীতে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার পর জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছিলেন। এতে বিভিন্ন মাছ, সাপ, ব্যাঙ, শামুকসহ জলজ প্রাণী ধ্বংস হচ্ছিল। সেইসঙ্গে পানির প্রবাহ বিঘ্নিত হয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাঁধটি দিয়ে অবাধে ধানি জমির মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করত।

গতকাল বিকেলে ও আজ দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান বাঁধ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাঁধটি অপসারণ করান। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হয়। এ সময় দায়ী ব্যক্তিরা পালিয়ে ছিলেন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

স্থানীয় কনা মিয়া বলেন, 'মনাফ মিয়া ১০ বছর আগে এই বাধটি দেন। এই বাধের কারণে সবাই ভোগান্তির মধ্যে ছিল। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ কিছুই বলত না। এই বাধ ব্যবহার করে অনেক আগে থেকেই কৃষি জমির উবর মাটি বহন করা হত। কিছুদিন আগে মনাফ মিয়া মারা যান।'

সহকারী কমিশনার মো. মেহেদি হাসান বলেন, 'আমি মূলত ধানি জমির উবর মাটি বিক্রি রোধে ভ্রামমাণ আদালত করতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় এই বাধটি দেখি। পরে
স্থানীয়দের সাথে আলাপ আলোচনা করে বুঝতে পারি এই অবৈধ বাধের কারণে এলাকার শত শত মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। তাই দুই দিনের অভিযান চালিয়ে বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of the people who died during the student-led mass protests in July and August.

2h ago