জাপানি ইজেডে প্রথম উৎপাদন শুরু করল সিঙ্গার

বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিএসইজেড, জাপানি ইজেড, সিঙ্গার বাংলাদেশ, সিঙ্গার,

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বিএসইজেড) প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে হোম অ্যাপ্লায়েন্সের পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ। বিএসইজেড জাপানি ইজেড নামে বেশি পরিচিত। অন্যদিকে সিঙ্গার হলো- দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারক ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

নতুন ফ্যাক্টরিতে তুর্কি বহুজাতিক আর্সেলিকেনের ৭৮ মিলিয়র ডলার বিনিয়োগের আছে, তারাই সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক। সিঙ্গারের নতুন ফ্যাক্টরির অন্যতম উদ্দেশ্য আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং দেশেই ৯০ শতাংশেরও বেশি কাঁচামাল উত্পাদন করা।

সিঙ্গার বাংলাদেশের হেড অব প্রোডাক্ট ফারহান আজহার বলেন, 'জাপানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত বিএসইজেডে গত সপ্তাহে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শুরু করেছে তারা।'

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, 'চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরু হবে। নতুন কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।'

'নতুন কারখানায় বছরে ১০ লাখ রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করা সম্ভব হলেও প্রাথমিকভাবে আমরা চার লাখ রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করব,' বলেন তিনি।

ফারহান আজহার বলেন, 'বর্তমানে সাভারে আমাদের একটি কারখানা রয়েছে, নতুন কারখানা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। সাভারের কারখানাটি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত করা হয়নি, তবে ৩৫ একর জায়গার ওপর স্থাপিত নতুন কারখানায় বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করতে বিশ্বমানের যন্ত্রপাতি আছে।'

সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এইচ এম ফাইরোজ বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসছে। আর আমাদের কার্যক্রম ভোক্তাদের জন্য, তাই সিঙ্গার বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পণ্য আনতে তার কার্যক্রমে রদবদল আনছে।'

বিএসইজেডের প্রকল্প পরিচালক সালেহ আহমেদ বলেন, তারা ইতোমধ্যে বিএসইজেডের ৫০০ একর জমির মধ্যে ১৭টি কোম্পানিকে ২২০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। গাড়ি নির্মাতাসহ জাপান ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি স্থানীয়রাও এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

1h ago