'রিভিউ নেওয়াতে আমরা ভালো নই, এটা পরিষ্কার'

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) ফায়দা সে অর্থে কখনোই তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বরাবরই রিভিউ নেওয়ায় অদূরদর্শিতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অবস্থা এমনই প্রতিপক্ষ পেসারদের দুরন্ত গতির বল কিংবা স্পিনারদের ঘূর্ণির সামলানোর চেয়েও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেওয়া একটি রিভিউ রীতিমতো টাইগারদের বিচক্ষণতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

মূলত কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুনারত্নে যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন হতাশা ক্রমেই বাড়ছিল বাংলাদেশের। এ জুটি ভাঙতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে ওঠে টাইগাররা। কিন্তু এমন সময়ে এক ভূতুড়ে রিভিউ নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, যে বলে বোলার ও কিপার কেউই আবেদন করেননি। তাতে রিভিউ নেওয়ায় অদূরদর্শিতা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ঘটনাটি ম্যাচের ৪৪তম ওভারের। শ্রীলঙ্কার রান পেরিয়ে গেছে দেড়শো। তাইজুল ইসলামের বলে কিছুটা এগিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মেন্ডিস। বল পায়ে লেগেছে ভেবে তখন স্লিপে থাকা অধিনায়ক শান্ত হাত তুলে আবেদন করেন। বোলার তাইজুলকে জিজ্ঞেস করেন পায়ে লেগেছে? দ্বিধাগ্রস্ত তাইজুল স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। সাড়া পাওয়া যায়নি কিপার লিটন দাসের কাছ থেকেও।

তখন স্টাম্প মাইকে অধিনায়কের কণ্ঠ শোনা যায়, 'পায়ে লাগছে আগে, নিব।' এরপর রিভিউ নেন শান্ত। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল পরিষ্কারভাবে লেগেছে মেন্ডিসের মাঝ ব্যাটে।  টিভি আম্পায়ারকে আল্ট্রা এজও দেখতে হয়নি। সামনের পা থেকে বল তখন অনেকখানি দূরে। স্বাভাবিকভাবেই রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। আসলে রিভিউ নষ্ট করে টাইগাররা।

আর রিভিউ নেওয়ায় যে টাইগাররা এখনও কাঁচা তা স্বীকার করে নিয়েছেন পেস বোলিং আন্দ্রে অ্যাডামস, 'এটা এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। রিভিউ নেওয়াতে আমরা খুব একটা ভালো নই, এটা খুবই পরিষ্কার। এখন পর্যন্ত রিভিউ নেওয়াতে আমরা জঘন্য। এই বিষয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।'

রিভিউ নেওয়ায় বাস্তবতার চেয়ে খেলোয়াড়রা আবেগকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে মনে করেন এই কোচ, 'রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরিভাবে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকে, হয়তো পয়েন্টে দাঁড়ানো ফিল্ডারও বুঝতে পারে। আমরা যেভাবে রিভিউ নিচ্ছি, তা কাজে লাগছে না। আমার মনে হয়, সম্ভবত এই মুহূর্তে বাস্তবতার চেয়ে আবেগকে প্রাধান্য দিচ্ছি।'

এরপর শান্তর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আরও বলেন, 'এটা সরাসরি ব্যাটের মাঝ বরাবর লেগেছে, এটা ভালো রিভিউ ছিল না। রিভিউ নেওয়াতে ভয় পাক, এমনটা দেখতে চাই না। আমাদের শুধু ভালো একটা প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

34m ago