দেশে স্কুটার বিক্রি ৩ মাসে বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

স্কুটার
নগরায়নের কারণে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাহিদা বেড়েছে। যাতায়াতের জন্য স্কুটার সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী বলে দাবি করছেন এর নির্মাতারা। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

নিরাপদ ও আরামদায়ক বাহন হিসেবে নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যে জনপ্রিয়তার কারণে দেশে চলতি বছরের শুরু থেকে স্কুটার বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

গত জানুয়ারি থেকে স্কুটার বিক্রি ৩০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।

বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একমাত্র পরিবেশক এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহর-গ্রামে স্কুটার ব্যবহার বাড়ছে। কেননা, স্কুটার ভ্রমণ আরামদায়ক।'

তিনি আরও বলেন, 'কেউ সাশ্রয়ী মূল্য ও ভ্রমণে সুবিধার জন্য স্কুটার কিনছেন। কেউ আবার একে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে দেখছেন।'

'কিন্তু আমরা এখনো বাজারের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছি' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'কারণ আগেই পুরো টাকা দিতে হয় বলে আমদানি কমে গেছে।'

চেন্নাই-ভিত্তিক বহুজাতিক মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক টিভিএস মোটর কোম্পানি বাংলাদেশের স্কুটার বাজারে প্রায় ৪০ শতাংশ দখল করে আছে। এরপর ৩০ শতাংশ সুজুকির নিয়ন্ত্রণে।

ইয়ামাহা, হোন্ডা, হিরো হোন্ডা, রানার ও ওয়ালটনসহ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নির্মাতাদের স্কুটারও বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৮৭৫টি স্কুটার বিক্রি হচ্ছে। আগের বছরে একই সময়ে বিক্রি হতো ৬২২টির মতো।

বিদ্যুৎ ও তেলচালিত স্কুটার বিক্রেতা রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই ধরনের স্কুটার বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'যারা মোটরসাইকেলের চেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ চান তারা স্কুটার বেশি পছন্দ করেন।'

তার মতে, স্কুটারে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম। তাই এর বিক্রি বেশি।

সুজুকি বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার একেএম তৌহিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনা মহামারির পর সুজুকি স্কুটারের বিক্রি অনেক বেড়েছে।'

টিভিএস অটো বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব কুমার রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত তিন মাসে টিভিএস স্কুটার বিক্রি প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।'

তিনি জানান, গত জানুয়ারি থেকে টিভিএস প্রতি মাসে ৫০০ স্কুটার বিক্রি করেছে। আগে বিক্রি হতো ৩০০টি।

তিনি আরও বলেন, 'টিভিএস ১২৫ সিসি ও ১১০ সিসি মডেলের স্কুটার বিক্রি করে। উভয় মডেলের চাহিদা অনেক বেড়েছে।'

সুজুকি বাংলাদেশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'নগরায়নের কারণে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাহিদা বেড়েছে। যাতায়াতের জন্য স্কুটার সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী।'

বিক্রেতারা বাংলাদেশে বাজার বাড়াতে নতুন ও আধুনিক মডেলের মোটরসাইকেল বাজারে নিয়ে আসছেন।

বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও বর্তমানে মোট মোটরসাইকেল বাজারে স্কুটারের বিক্রির হার মাত্র দুই শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance surges 37% in April

Migrants sent home $2.6 billion in the first 29 days of April

38m ago