মিটিংয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশ, লঙ্কানরা অনুশীলনে

ছবি: ফিরোজ আহমেদ / স্টার

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিলেট টেস্টে বিধ্বস্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় হারের সামনে বাংলাদেশ। তিন দিনেই যে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে হার এড়িয়ে কোনো মতে ড্র করতে পারলেও হবে বড় অর্জন। এরজন্য দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদেরই। কিন্তু লঙ্কানদের পাতা ফাঁদ থেকে নিজেদের আগলে রাখতে পারবেন লিটন-শান্তরা?

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে মাঠে আসেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। আর ঢুকেই অনুশীলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লঙ্কান ফুরফুরে মেজাজে থাকা লঙ্কান ক্রিকেটাররা। কেবল একজনই করেছেন ব্যাটিং অনুশীলন। বাকি সবাইকে ফিল্ডিং ও বোলিং অনুশীলন করতেই দেখা গিয়েছে। বিশেষকরে জোড় দিয়েছেন ফিল্ডিংয়ে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেহারাতেই ছিল হতাশার ছাপ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক ওইদিকে হাঁটছিলেন। তাদের তখন ডেকে পাঠান চন্ডিকা হাতুরুসিংহের অনুপস্থিতিতে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা নিক পোথাস। মাঠের মাঝেই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ চলল তাদের টিম মিটিং। একটি দূর থেকে তা দেখছিলেন দুই জন লঙ্কান খেলোয়াড়রাও।

শিষ্যদের কি বলছেন পোথাস তা জানার উপায় নেই। তবে হয়তো মানসিক শক্তিটাই বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। কারণ টাইগারদের শরীরী ভাষাতেও ছিল না প্রাণ। প্রায় আধ ঘণ্টা ব্যাপী এই মিটিং শেষে শিষ্যদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েন। চলল স্লিপ ফিল্ডারদের নিয়ে অনুশীলন। আর কেউ করলেন ক্যাচিং প্র্যাকটিস। ব্যাটিংয়ের মতো এই ফিল্ডিংও যে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। 

আগের দিনই ৪৫৫ রানের লিড নেওয়া শ্রীলঙ্কা যোগ করতে চায় আরও ৫০-৬০ রান। আগের দিন তা স্পষ্ট করেই বলেছেন তাদের পেস বোলিং কোচ দর্শনা গামাগে। এরমধ্যেই রানের পাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশের জন্য তাই জয়ের তেমন সুযোগই থাকবে না। একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে ম্যাচ বাঁচানো। সেটা করতে হলে প্রয়োজন ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানো।

কিন্তু সাগরিকায় আগের দিন যেভাবে লঙ্কানদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন তাতে শঙ্কা থেকেই যায়। বিশ্ব ও আসিথা ফার্নান্ডো একের পর এক বল করে যাচ্ছিলেন ওয়াইড অব দ্য ক্রিজে। অ্যাঙ্গেলে করা বল মাঝে মধ্যেই ভেতরে ঢুকে ছোবল মেরেছে। তাতে আউট হয়েছেন জয়, জাকির, তাইজুলরা।

এমনকি দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসানও পা দিয়েছেন ফাঁদে। একের পর এক শর্ট বলে বাউন্সার মেরে তাকে পেছনের পায়ে খেলতে বাধ্য করেছেন। এরপর হুট করেই ভেতরে ঢোকানো বলে ফেলেছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। কেবল মুমিনুল হকই তাদের ফাঁদে পা দেননি। যদিও ফিরতে হয়েছিল তাকেও। এখন দেখার বিষয় দ্বিতীয় ইনিংসে কেমন করেন টাইগাররা?

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

7h ago