আইপিএলের পর পরই মায়াঙ্ককে ভারতীয় দলে দেখতে চান শেবাগ

Mayank Yadav

অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে তীব্র বেগে ঢুকে বল কেড়ে নিল অফ স্টাম্পের বেল। ক্যামেরন গ্রিনের হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া যেন কিছুই করার ছিলো না। গতির ঝড়ে তরুণ মায়াঙ্ক যাদব টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ছড়ালেন আলো। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টকে আবারও জিতিয়ে নায়ক হওয়া এই তরুণে মুগ্ধ সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্রর শেবাগ। তাকে দ্রুতই ভারতের জাতীয় দলে দেখতে চান তিনি।

মঙ্গলবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে তাদের মাঠেই ২৮ রানে হারায় লক্ষ্ণৌ। ১৮১ রান সামাল দিতে গিয়ে বল হাতে দলের জয়ের নায়ক মায়াঙ্ক। ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট, হয়েছেন ম্যাচ সেরা। গতির তোড়ে গ্রিন ছাড়াও আউট করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও রজত পাতিদারকে।

এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেকে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও ২৭ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন ২১ পেরুনো পেসার।

প্রথম ম্যাচে বেশ কয়েকটি বল করেন ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার। দুটি ডেলিভারি ছাড়িয়ে যায় ১৫৫ কিলোমিটার। এদিনও বল করেন ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে।  আইপিএলের ইতিহাসে ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে সর্বোচ্চ তিনটি ডেলিভারি করা পেসার হয়ে গেছেন তিনি, তাও স্রেফ দুই ম্যাচে।

ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজের আলোচনা অনুষ্ঠানে মায়াঙ্ককে নিয়ে রোমাঞ্চে মাতেন দুই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার শেবাগ ও মনোজ তিওয়ারি।

মনোজের মতে গ্রিন গতির তোড়ে ঘাবড়ে উইকেট দিয়েছেন, 'গ্রিন ভয় নিয়ে খেলেছে, দেখুন সে সরে গিয়েছিলো, লাইনেই ছিলো না গতির কারণে। সে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, আইপিএল জুড়ে এখন মায়াঙ্ক আতঙ্ক।'

তার সঙ্গে সায় দিয়ে শেবাগ বলেন,  'ওটা তো ছিলো এক নম্বর ডেলিভারি, ওটা এবং ম্যাক্সওয়েলেরটাও, একদম ক্লাস। গ্রিনের টপ অব অফ স্টাম্প উড়ে গেল। সে বলই দেখতে পায়নি। এক্স ফ্যাক্টর বলব আমি। প্রথম ওভারেই ২ উইকেট। এরপর আরও দুটি।'

উপস্থাপন শেবাগকে মনে করিয়ে দেন প্রথম ওভারে একটা ছিলো রান আউট। শেবাগ ব্যাখ্যা করে বোঝান রানআউটটাও তার গতির প্রভাবে, 'ওটাও তার প্রভাবেই হয়েছে। ব্যাটে বল লাগিয়েই ব্যাটার হুড়োহুড়ি করে প্রান্ত বদল করতে গিয়েছে, বাকি পাঁচ বল না খেলার জন্য। তাতেই রান আউট।'

'দুই ম্যাচেই সে এক্স ফ্যাক্টর ছিলো। দুই ম্যাচই সে দলকে জিতিয়েছে। নিচের ব্যাটারদের নয়, একদম টপ অর্ডার আউট করছে।'

এমন পারফরম্যান্সে মাত্র দুই ম্যাচ দেখেই সমর্থকরা তাকে বিশ্বকাপ দলে দেখার আলোচনা তুলেছেন। মায়াঙ্ককে এখনি জাতীয় দলে খেলানো দ্রুত হয়ে যায় কিনা এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দেল মনোজও,  'না না, তাড়াতাড়ি হবে না (দলে নিলে)। আমি যদি অজিত আগারকারের জায়গায় থাকতাম, ওর নাম প্রথমেই লিখতাম। জাসপ্রিট বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি এরপর সে, এরপর বাকিরা। সিরাজকে নিব না, তার ছন্দটা ভালো যাচ্ছে না।'

'তাকে (মায়াঙ্ক) নিলে সে করে দেখাবে। আইপিএলে বড় বড় আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা খেলে। কাজেই এটা বড় এক মঞ্চ পরীক্ষার জন্য।'

ভারতের এক সময়ের বিস্ফোরক ব্যাটার শেবাগের মতে উমরান মালিকেরও গতি ছিলো, তবে মায়াঙ্কের গতির সঙ্গে আছে নিয়ন্ত্রণ, যা তাকে রাখছে এগিয়ে। কাজেই এই ডানহাতি পেসারকে এখনি জাতীয় দলে দেখার চাহিদা তার, 'উমরান মালিক এসেও দারুজ তেজ দেখিয়েছিল। কিন্তু উমরানের সঙ্গে এর ফারাক হচ্ছে এর লাইন লেন্থ সঠিক। উমরান ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছে, তবে তার লাইন লেন্থ ঠিক নেই। মায়াঙ্কের লাইন লেন্থ ঠিকঠাক। এটা আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে। এজন্য মনোজের সংগে আমি একমত যে আইপিএলের পর তাকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলানো উচিত যদি সে ফিট থাকে।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago