কোনো উত্তর নেই শান্তর কাছে

চট্টগ্রাম টেস্টে এতো ক্যাচ মিস ও হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কারণ জানা নেই শান্তর
ছবি: ফিরোজ আহমেদ / স্টার

প্রভাত জয়াসুরিয়ার ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে সরাসরি ক্যাচ চলে গেল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। তার হাত ফসকে চলে গেল শাহাদাত হোসেন দিপুর কাছে। ধরতে গিয়ে ভলিবলের মতো উড়িয়ে দিলেন এই তরুণ। এরপর সেই বল ধরতে ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করলেন জাকির হাসানও। তিনিও ব্যর্থ। ক্ষণিকের জন্য ভলিবল ম্যাচে পরিণত হয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্ট।

তবে শুরু ওই এক ক্যাচই নয়, প্রথম ইনিংসেই সাতটি সহজ ক্যাচ ছাড়েন টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও চলে একই ধারা। অথচ এই ক্যাচগুলো ধরতে পারলে প্রথম ইনিংসেই টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিতেই পারতো বাংলাদেশ। এমনকি ফলাফলও হতে পারতো ভিন্ন। কাঠগড়ায় তাই সবার আগে ফিল্ডাররাই।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে এমন ক্যাচ মিসের কারণ জানতে চাইলে যেন অসহায় আত্মসমর্পণই করেন। বললেন, 'কেন হয়েছে এটার অ্যান্সার নাই'

অথচ প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি দেখছেন না অধিনায়ক, 'ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে বলব যে সবাই যথেষ্ট অনুশীলন করে সবাই অনুশীলনে প্রত্যেকটা ক্যাচও ধরে। কেন হয়েছে এটার অ্যান্সার নাই কিন্তু প্রস্তুতি যদি বলেন ফিল্ডিংয়ে সবাই ভালোমতো প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ক্যাচগুলো আমরা ধরতে পারি নাই। প্রস্তুতি যদি বলেন ফিল্ডিংয়ে সবাই ভালোমতো প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ক্যাচগুলো আমরা ধরতে পারিনি।'

শুধু যে ফিল্ডাররাই কাঠগড়ায় এমনও নয়। টেস্ট হারায় তাদের চেয়েও বড় দায় ব্যাটাররা। দুই টেস্টেই হতশ্রী ব্যাটিং। অহেতুক শট খেলতে গিয়ে দিয়েছেন আত্মাহুতি। শান্তর ভাষায়, 'ব্যাটিংয়ে পুরা সিরিজে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। এখানে অজুহাত দেওয়ার কোনো অপশন নেই যে এই কারণে হয়েছে ওই কারণে হয়েছে। দল হিসেবে পুরা সিরিজে ৪টা ইনিংসেই আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি।'

চট্টগ্রাম টেস্টে শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৩১৮ রানে গুটিয়ে যায়। এই ইনিংসের আগে টানা পাঁচটি ইনিংসে তো দুইশও করতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই এই ব্যর্থতার কারণের খোঁজে শান্তরা।

Comments