যথেষ্ট আগ্রাসী ছিলেন না কোহলিরা!

virat kohli and faf du plessis
ছবি: বিসিসিআই

বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করলেন তবু তার দল শেষ পর্যন্ত জিততে পারল না। ওপেনিং জুটিতে ১২৫ রান আসার পরও করতে পারল না দুইশো। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মনে করছেন, উইকেট বিচারে চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট আগ্রাসী ছিলেন না তারা।

জয়পুরে শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুর ১৮৩ রানের পুঁজি ৫ বল আগে পেরিয়ে ৬ উইকেটে জিতে যায় রাজস্থান। কোহলিকে ছাপিয়ে ৫৮ বলে ১০০ রান করে নায়ক জস বাটলার। ৪২ বলে ৬৯ করে প্বার্শ নায়ক সঞ্জু স্যামসন।

আড়ালেই পড়ে গেছে কোহলি ৭২ বলে ১১৩। বরং তার ইনিংস পড়ছে কাঠগড়ায়। এদিন ৬৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন কোহলি। যা আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে মন্থর সেঞ্চুরির রেকর্ড। (২০০৯ সালে মানিশ পান্ডে করেছিলেন ৬৭ বলে সেঞ্চুরি)।

কোহলির ওপেনিং সঙ্গী অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি আউট হন ৩৩ বলে ৪৪ করে। চাহিদা মেটাতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, সৌরভ চৌহান, ক্যামেরন গ্রিনরা।

ম্যাচ হারার পর ফ্লাওয়ার অনেকটা ইঙ্গিত করেই বুঝিয়ে দেন ব্যাটারদের ঘাটতির দায়,  'আমরা স্ট্রাইকরেট ও আগ্রাসন নিয়ে আলাপ করছি। টি-টোয়েন্টি খেলা বোঝার একটা অংশ এটা।'

'আগ্রাসনের মাত্রাটা এক ধাপে বাড়াতে হবে যাতে প্রতিপক্ষকে সব সময় চাপে রাখা যায়। আজকের মতন উইকেটে আরও আগ্রাসী হওয়ার চাহিদা ছিলো। কোহলি ছাড়া সেরা পাঁচের কেউ ঝাঁজ দেখাতে পারেনি। আমাদের যদি ঘুরে দাঁড়াতে হয় তাহলে জ্বলে উঠতে হবে।'

বেঙ্গালুরুর ঠিক বিপরীত ছিল রাজস্থানের ব্যাটিং। স্যামসন আর বাটলার নিজেকের উইকেটের প্রতি মায়া না করেই হাত খুলে মেরেছেন। ক্রিজে দুজনেই ছিলেন ভীষণ সচল। বাউন্ডারি বের করেছেন ঘন ঘন।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে যান যশভি জয়সওয়াল। এরপর কয়েকটি ডট বলে চাপ বাড়াচ্ছিল বেঙ্গালুরু। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মায়াঙ্ক ডাগারকে আক্রমণ করে ২০ রান নিয়ে নেয় রাজস্থান। এরপর তাদের আর থামানো যায়নি। ফ্লাওয়ারও টের পেয়েছেন প্রতিপক্ষের মোমেন্টাম পাওয়ার মুহূর্ত, '১২তম ওভারে বিনা উইকেটে ১০৭ ছিলাম, এরপর এই ভালো পিচে দুইশ করা উচিত ছিলো আমাদের। বোলিংয়ে নতুন বলে আমরা শুরুটা পেয়েছিলাম, রিস টপলি, মোহাম্মদ সিরাজ ভালো করছিলো। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলি।'

এবারের আইপিএলে এই নিয়ে চার ম্যাচের সবগুলো জিতে টেবিলের শীর্ষে রাজস্থান। তিন ম্যাচের সব হেরে তলানিতে বেঙ্গালুরু।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

2h ago