ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা

রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা খুব কম। নেই তেমন মানুষজনও
ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা। নেই সেই চিরচেনা ব্যস্ততা, যানজট। রাজধানীর মিরপুর রোডের আজ সকালের চিত্র। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। ঈদ আর পহেলা বৈশাখ ঘিরে টানা কয়েকদিনের ছুটিতে নগরবাসী রাজধানী ছেড়ে যাওয়ায় সেই চিরচেনা ব্যস্ত রূপ নেই ঢাকার।

আজ ঈদের আগের দিন সকালে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম। নেই তেমন মানুষজনও।

তবে শপিংমল, মার্কেট এলাকায় মানুষজনের যাতায়াত দেখা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাব মোড়। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

ঢাকার মতিঝিল, মগবাজার, মিরপুর রোড, ধানমন্ডিসহ ব্যস্ত এলাকাগুলোতে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে দেখা যায় কোনো ব্যস্ততা নেই সেখানে। ফুটওভার ব্রিজ প্রায় ফাঁকা। সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। বলেন, ঈদ এলেই এমন ফাঁকা হয়ে যায় ঢাকা। গাড়ি কম থাকে, যানজট নেই। তাই কোথাও যেতে অনেক কম সময় লাগে। তবে তারা অভিযোগ করেন এই সময়টায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া অনেক বেড়ে যায়।

মিরপুর ১০ এর আজকের চিত্র। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

ঢাকায় যারা আছেন শেষ সময়ের ঈদের বাজার করবেন আজ। কাঁচাবাজারগুলোতে চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটা। অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষেরাও কিনছেন নিজেদের সাধ্যমতো।

হাতিরপুলে ফুটপাতের দোকানদার সেলিম মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। ভ্যানে বাচ্চাদের জামা কাপড় বিক্রি করেন তিনি। বলেন, 'আজকে তো চান রাত, তাই আজকেও বেচাবিক্রির আশা আছে।'

রাজধানীর মগবাজার এলাকা। ছবি: আনিসুর রহমান/ স্টার

মহাখালীতে বাস টার্মিনালে ভিড় নেই। ময়মনসিংহগামী বাসচালক নুরুল ইসলাম বলেন, যাত্রী তো নাই বললেই চলে। তিনি জানান, গতকাল এক ঘণ্টা ধরে মাত্র ২৬ জন যাত্রী পেয়েছেন তিনি।

মিরপুর ১ নম্বর সড়কের চিত্র। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

ফাঁকা ঢাকায় আজও যাত্রী পেতে সমস্যা হবে বলে মনে করেন এই বাসচালক।

Comments

The Daily Star  | English

Lifts at public hospitals: Where Horror Abounds

Shipon Mia (not his real name) fears for his life throughout the hours he works as a liftman at a building of Sir Salimullah Medical College, commonly known as Mitford hospital, in the capital.

5h ago