ইসরায়েলে ২০০টির বেশি ড্রোন-মিসাইল ছুড়েছে ইরান, জরুরি বৈঠকে বাইডেন

শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। এই প্রথম তেহরান সরাসরি ইরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালালো।

বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান ২০০টিরও বেশি ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে।

তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এই অঞ্চলের মিত্ররা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলোর বড় অংশকে প্রতিরোধ করতে পেরেছে, কয়েক ডজন ড্রোন ও মিসাইল ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বাইরেই গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, ইরানের হামলার পর হোয়াইট হাউসে জরুরি বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকের একটি ছবি এক্সে (টুইটার) প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।

 এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বাইডেন বলেছেন, 'ইরান এবং এর সঙ্গীদের হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের  দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকবে।'

বাইডেন আরও জানান, ইরান থেকে আসা প্রায় সব ড্রোন ও মিসাইল নামিয়ে ফেলতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে মার্কিন বাহিনী।
 'গত সপ্তাহে'ই এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা টিমকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। 

'আমাদের সেনা সদস্যদের অসাধারণ দক্ষতার জন্য আমরা ইসরায়েলকে প্রায় সব ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নামাতে সাহায্য করতে পেরেছি। আমি কঠোর ভাষায় এই হামলার নিন্দা জানাই,' বাইডেন বলেন। 

এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানায়, হোয়াইট হাউসে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। বাইডেন আজ সন্ধ্যায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির জানিয়েছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ও ড্রোন হামলায় এখন পর্যন্ত একজন হতাহতের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। 

তিনি জানান, কয়েকটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের একটি সামরিক স্থাপনায় কিছু ক্ষতি করেছে। তবে সেটি কোন স্থানে ঘটেছে এ ব্যাপারে বিশদ বিবরণ দেননি তিনি। 

এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, আরাদ অঞ্চলের বেদুইন এলাকায় আহত হওয়া সাত বছর বয়সী একটি শিশুকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 

Comments