কান্নাকাটি না করে বোলারদের উপায় বের করতে বললেন কলকাতার কোচ

 Ryan ten Doeschate

২৬১ রান করেও হারতে হবে! তাও ৮ বল আগে! ব্যাপারটা যেন ঠিক হজম হওয়ার মতন নয়। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেন দেখল এমনই বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচ। কলকাতা নাইট রাইডার্স বোলারদের তুলোধুনো করে ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব কিংস। এই ম্যাচের পর রান বন্যার আইপিএলে বোলারদের জন্য উঠছে হাহাকার। তবে কলকাতার সহকারী কোচ রায়ান টেন ডসেটে বলছেন, কান্নাকাটি না করে বোলারদেরই একটা নিজেদের রক্ষার একটা উপায় বের করতে হবে।

এবার আইপিএল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে দেখছে একের পর এক রেকর্ড। সানরাইজার্স হায়দরবাদার ২৭৭ এর পর ২৮৭ করে দুবার ভাঙে আইপিএল রেকর্ড। আরেকবার তারা করে ২৬৬ রান। ইডেনেই কলকাতার ২২৩ রান টপকে রেকর্ড গড়ে জিতে রাজস্থান রয়্যালস।

তাদে রেকর্ড টিকেনি বেশি দিন। এবার পাঞ্জাব কিংস ২৬১ রান তাড়া করে জিতে স্বীকৃত ক্রিকেটে রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেলেছে। আইপিএলে রান তাড়ার দুটি রেকর্ডই কলকাতার বোলারদের বিপক্ষে।

ছোট বাউন্ডারি, ব্যাটিং স্বর্গ উইকেট, ইমপ্যাক্ট বদলির নিয়ম, আর সাদা কোকাবুরা বলের সমন্বয় মিলিয়ে বোলারদের জন্য যেন কিচ্ছু নেই। তবে এই না থাকা নিয়ে হাহাকার করার পক্ষে নন রায়ান টেন। তারমতে একটা না একটা বুদ্ধি বের করাই হচ্ছে বেঁচে থাকার একমাত্র পথ,  'এখানে দুটো রাস্তা আছে। আপনি হাল ছেড়ে দিয়ে বলতে পারেন, "এটা অন্যায়, আমরা বোলিং মেশিন।" অথবা আপনি বসতে পারেন স্থির হয়ে ভাবতে পারেন, "আমাদের একটা উপায় বের করতে হবে, অন্য দল থেকে তফাৎ নিয়ে আসতে হবে।, আমাদের নতুন কিছু চেষ্টা করতে হবে।" এটা কঠিন হবে, কিন্তু আপনাকে অভিনব হতে হবে আগামী চার সপ্তাহর জন্য। কান্নাকাটির কিছু নেই। সব কিছুই এরমধ্যে ব্যাটারদের পক্ষে। আমি বোলারদের জন্য দুঃখিত। কিন্তু এটাই ফ্যাক্ট, বাস্তবতা। আমার মত হচ্ছে একটা উপায় বের করে ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ ফিরিয়ে দেয়া।'

এবার আইপিএল রানের দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছে আগের সব আসর থেকে। গড় রানরেট দশের কাছাকাছি। টুর্নামেন্টের বাকি পথে সেটা আরও বাড়তে হবে। বোলাররা চার-ছক্কার তাণ্ডব ঠেকাতে কিছু করতে পারেন কিনা দেখার বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago