নারী আম্পায়ার নিয়ে আপত্তির ব্যাখ্যা দিল প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান

shathira jakir jessy

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ম্যাচে নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসিকে নিজেদের ম্যাচে চায়নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি না জানালেও মৌখিকভাবে নিজেদের অনীহা প্রকাশ করার কথা স্বীকার করেছে তারা।

গত বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে মুখোমুখি হয় এই দুদল। এই ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পান এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি।

ম্যাচটি শুরুতে আলোচনায় আসে মুশফিকুর রহিমের আউট ঘিরে। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ হলেও ফিল্ডারের পা লাইন স্পর্শ করায় বিতর্কে ম্যাচ থেমে ছিলো ১৩ মিনিট। তবে এক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের দিকে আঙুল তোলার সুযোগ ছিলো না, সেটা করেওনি প্রাইম ব্যাংক। টিভি রিপ্লে না থাকায় ফিল্ডারের সততার উপরই নির্ভর করতে হয় আম্পায়ারদের।

তবে ম্যাচের পরদিন জানা যায় নারী আম্পায়ার নিয়েই আপত্তি ছিলো দুই দলের। বিসিবির আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠুও দ্য ডেইলি স্টারকে এই খবর জানিয়েছিলন, 'হ্যাঁ, বিসিবি নারী আম্পায়ারকে দায়িত্ব দেওয়ায় তারা অখুশি ছিলো। কিন্তু ম্যাচ চলেছে।'

'তারা মন্তব্য করে নিজেদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি, সিসিডিএমকে বলেছে। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী। আমাদের এই ধরনের নিয়োগকে উৎসাহ দেওয়া উচিত।'

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয় তরিকুল ইসলাম টিটু দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মৌখিকভাবে নিজেদের অখুশি মনোভাব প্রকাশ করেন তারা, 'আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিলো। আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট টিপোর্ট করিনি।'  টিটুর মতে জেসি নতুন হওয়াতেই আপত্তি ছিলো তাদের।

প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কনের কথায় ইঙ্গিত মেলে তাদের আপত্তি নারী আম্পায়ার হওয়াতেই ছিলো, 'মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম। মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। অনভিজ্ঞতার জন্যই।'

এই ম্যাচে পুরুষ আম্পায়ার যিনি ছিলেন সেই মনিরুজ্জামানের বিপক্ষেও অনেক সময় প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া পুরুষ আম্পায়ারদেরও নানান সময়ে এলবিডব্লিউ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেওয়ার নজির আছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

4h ago