৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে এপ্রিলে

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

গত এপ্রিল মাসে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। ১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

একটি এক মিটার দীর্ঘ ও এক মিটার প্রস্থের পাত্রে জমা হওয়া বৃষ্টির পানির উচ্চতা মেপে বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়। এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের অর্থ হলো এক বর্গফুট জায়গায় মাত্র এক লিটার পরিমাণ বৃষ্টির পানি পড়া।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে গড়ে ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ১৯৮১ সালের পর এটাই ছিল দেশের শুষ্কতম মাস।

তিনি জানান, গত মাসে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এক মিলিমিটার বৃষ্টিও হয়নি। অন্যদিকে সিলেটে সর্বোচ্চ ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকা বিভাগে চলতি এপ্রিলে গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় ৯১ শতাংশ কম, চট্টগ্রামে ৮৪ শতাংশ কম, ময়মনসিংহে ৮৮ শতাংশ এবং বরিশালে ৮৬ শতাংশ কম হয়েছে।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, 'এই বছরের এপ্রিলে সার্বিকভাবে গড়ের তুলনায় ৮১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।'

এপ্রিলে দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর মে মাস কিছুটা স্বস্তিদায়ক হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা। এ মাসে তাপপ্রবাহ হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরমের অনুভূতি থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।

আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামীকাল থেকে শুরু করে ৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টি ও এর সঙ্গে বজ্রঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসে দুই থেকে তিনটি মৃদু তাপপ্রবাহ ও দুটি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

19h ago