শতরানের ওপেনিং জুটির পরও বাংলাদেশের পুঁজি ১৪৩

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওপেনিং জুটি যখন ভাঙে তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১০১ রান। দ্বাদশ ওভারের খেলা চলছিল তখন। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। এরপর ৪২ রান তুলতেই হারায় ১০ উইকেট। কোনোমতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় টাইগাররা।  

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করেছে করে স্বাগতিক দলটি।

অথচ এদিন বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন তরুণ তানজিদ হাসান তামিম ও টানা ব্যর্থতায় বাদ পড়া লিটন দাসের জায়গায় চোট কাটিয়ে দলে ফেরা সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে এ দুই ওপেনার যোগ করেন ১০১ রান। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কেবল দুইবার শতরানের ওপেনিং জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। 

তবে শুরুতে কিছুটা দেখেই খেলেছিলেন তানজিদ ও সৌম্য। ধীরে ধীরে আগ্রাসী হতে শুরু করেন তানজিদ। পাওয়ার প্লের ৩৬ বলের মধ্যে ২৭ বলই খেলেন তিনি। এ সময়ে ৭টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন তিনি। অন্যদিকে সৌম্য সরকারের সংগ্রহ তখন ৯ বলে ৫ রান। শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ। চলতি সিরিজে প্রথম ছয় ওভারে এটাই সর্বোচ্চ রান।

পাওয়ার প্লে শেষে প্রথম বাউন্ডারি পান সৌম্য। ব্রায়ান বেনেটকে রিভার্স সুইপ করে ছক্কা মারেন তিনি। মেজাজ ধরে রাখেন তানজিদও। তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। ৩৪ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন। এই পথে ৭টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন এই তরুণ। কিন্তু ফিফটির পর একটি জীবন পেলেও খুব বেশি আগাতে পারেননি তিনি।

ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে দুই ওপেনারকেই তুলে নেন লুক জংবি। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের শুরু। অফস্টাম্পের বাইরে রাখা তার স্লোয়ার বলে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরে যান তানজিদ। ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় করেন ৫২ রান। আর শেষ বলে সৌম্য পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। 

তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ব্রায়ান বেনেটের হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। এরপর আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।

পরের ওভারে তো ফের জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এবার বল হাতে নিয়ে সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে তুলে নেন বেনেট। রাউন্ড দ্য উইকেটে তার সোজা ডিফেন্স করতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান সাকিব। প্রায় একই ধরণের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন ও লেন্থ মিস করে বোল্ড হয়ে যান শান্ত।

এনগাভারার করা ১৭তম ওভারে আবারও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আউটসাইড এজ হয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দেন জাকের আলী। আর রিশাদ হোসেনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারৎ দিয়ে রানআউট হন তাসকিন আহমেদ। তবে টিকতে পারেননি রিশাদও। জংবির ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

তানজিম হাসান সাকিব বোল্ড হয়ে যান এনগাভারার বলে। আর মোস্তাফিজুর রহমান উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন।

   

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

6h ago