জিম্বাবুয়ের ইনিংসের মাঝপথে ম্যাচ হেলে বাংলাদেশের দিকে

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সাদামাটা রান তাড়ায় নামা জিম্বাবুয়েকে সুবিধা করতে দিচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের বিপাকে ফেলছেন তারা। জুটি বড় হতে না দিয়ে নিয়মিত তুলে নিচ্ছেন উইকেট। ফলে সফরকারীদের ইনিংসের মাঝপথে ম্যাচের পাল্লা হেলে টাইগারদের দিকে।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৮ রান। ক্রিজে আছেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ১২ বলে ১৩ রানে। তার সঙ্গী মাত্রই নামা রায়ান বার্ল খেলছেন ৩ বলে ১ রানে।

জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে দ্রুত রান তোলার চাহিদা রয়েছে জিম্বাবুয়ের সামনে। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে তাদের করতে হবে আরও ৮৬ রান। অর্থাৎ ওভারপ্রতি তাদের দরকার প্রায় ৯ রান।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উল্লাসের মুহূর্ত এনে দেন তাসকিন আহমেদ। পুল শটে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড অনে সাকিব আল হাসানের তালুবন্দি হন ব্রায়ান বেনেট। ৪ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ওপেনার।

দলীয় শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা চালান আরেক ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানি ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তারা মনোযোগী ছিলেন তাড়াতাড়ি রান ওঠানোয়। তবে এই জুটিকে মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি ডানহাতি পেসার তাসকিন। তার ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান রাজা। চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ৪ চারে ১৭ রানে আউট হন তিনি। ভাঙে ১৯ বলে ২৮ রানের জুটি।

এই ধাক্কা সামলে না উঠতেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসের আরেক আঘাত। পরের ওভারে সাকিব আল হাসান বাঁহাতি স্পিনে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মারুমানিকে। ১৩ বলে ৩ চারে তিনি করেন ১৩ রান।

জিম্বাবুয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে ৩ উইকেটে ৩৮ রান তুলে। চাপ এড়িয়ে প্রয়াস থাকলেও তাদের চতুর্থ উইকেট জুটিকেও বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের দশম ওভারে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ক্লাইভ মাদান্দে। ১৮ বলে ১ চারে তার রান ১২। ক্যাম্পবেলের সঙ্গে তার জুটি থামে ২৫ বলে ২৯ রানে।

এই ওভারের প্রথম বলেই অবশ্য উইকেট পেতে পারতেন রিশাদ। তবে স্লগ সুইপে ক্যাম্পবেল ক্যাচ তুললেও ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে তা লুফে নিতে ব্যর্থ হন তাওহিদ হৃদয়। ব্যক্তিগত ১১ রানে বেঁচে যান ক্যাম্পবেল। উল্টো আসে একটি রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অথচ তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটিতে এসেছিল ৬৮ বলে ১০১ রান। এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। স্রেফ ৪২ রানে পড়ে যায় ১০ উইকেট।

সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন তানজিদ। আরেক ওপেনার সৌম্য করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয় করেন ৮ বলে ১২ রান। বাকিরা সবাই দুই অঙ্ক ছুঁতে অসফল হন। জিম্বাবুয়ের হয়ে স্রেফ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন মিডিয়াম পেসার লুক জঙ্গুয়ে। এছাড়া, বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা নেন দুটি করে উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago