মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি বাংলাদেশের

১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শান্ত ও সাকিবকে নিয়ে দলকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুরুটা ছিল বিবর্ণ। দলীয় ১৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার তখন সাজঘরে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন আরও একটি জুটি। তাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করেছে টাইগাররা।

এদিন পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ছয় ওভারে আসে মাত্র ৩৩ রান। যা চলতি সিরিজে পাওয়ার প্লেতে সর্বনিম্ন স্কোর। যদিও ইনিংসের প্রথম ওভারে ছক্কা মেরে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে মেইডেন উইকেট। ফিরে যান দুই ওপেনারই। পরে হারায় আরও এক উইকেট।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে টপএজ হয়ে আকাশে তুলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম (২)। পরের ওভারে ব্রায়ান বেনেটের শর্ট ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে সৌম্যর ব্যাটের কানায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ চলে যায় শন উইলিয়ামসের হাতে। ৭ বলে ৭ রান করেন সৌম্য।

ব্যর্থ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটও। জিম্বাবুইয়ান স্পিনারদের বলে শুরু থেকেই সংগ্রাম করছিলেন। বেনেটের অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হয়ে যান হৃদয়। ৬ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

হৃদয়ের বিদায়ের পর উইকেটে নেমেই জিম্বাবুয়ের উপর চড়াও হন মাহমুদউল্লাহ। বেনেটের সেই ওভারেই টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। অন্যদিকে খোলস ভাঙতে শুরু করেন শান্তও। দারুণ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে নেন তিনিও। চতুর্থ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

শান্তকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ওয়েলিংটন মাসাদাকজা। তার আগের বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকান শান্ত। পরের বলে সুইপ করে আরও একটি বায়ুন্ডারি আদায় করতে চেয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক। তবে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন রায়ান বার্লের হাতে।

অধিনায়কের বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর অবশ্য পাঁচ রানের ব্যবধানে ফিরে যান দুই ব্যাটারই। লংঅন থেকে মিড উইকেটে ছুটে সাকিবের ক্যাচ দারুণ দক্ষতায় ধরেন জনাথন ক্যাম্পবেল। আর কাভার থেকে পেছন দিকে দৌড়ে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ নেন সিকান্দার রাজা। এরপর শেষ দিকে জাকের আলী আগ্রাসী হলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই পায় বাংলাদেশ। শেষ পাঁচ ওভারে ৫২ রান যোগ করে টাইগাররা।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২৮ বলে ৩৬ রান করেন শান্ত। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। ১১ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ২৪ রান করেন জাকের আলী। ২১ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মুজারাবানি ও বেনেট।

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

6h ago