হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠাচ্ছে এজেন্সি, মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

হজ এজেন্সিগুলোকে হজ ফ্লাইটের ডেটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির জন্য অর্থ না নেওয়া এবং হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন না পাঠাতে এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক চিঠি জারি করেছে।

গত ১২ মে এক সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশগ্রহণ করে।

সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সি ফ্লাইট ডেটা ঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে।

এছাড়া, হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডেটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠিয়েছে যা জেদ্দা বিমান বন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে।

এছাড়া হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকার পরও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কোরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছামাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কোরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago