অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের চাপ কমাতে স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন শর্ত

ইলাস্ট্রেশন: এহসানুর রাজা রনি

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে নানা কারণে অস্ট্রেলিয়া পছন্দের দেশ। বর্তমানে সাত লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দেশটিতে পড়ালেখা করছে। এই খাত থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি ৩৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে।

এরপরও অস্ট্রেলিয়া সরকার মনে করছে, দেশটির আবাসন খাতসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা দায়ী। দেশটির দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনেও এই শিক্ষার্থীদের অবদান আছে।

অভিবাসন কমাতে অস্ট্রেলিয়া সরকার এ বছর নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এ সপ্তাহ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় পরিবর্তন আসছে।

অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এখন ভিসার অনুমোদন পেতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও বেশি অর্থ দেখাতে হবে।

এ নিয়ে গত সাত মাসে অস্ট্রেলিয়া সরকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ন্যূনতম ব্যাংক ব্যাল্যান্সের পরিমাণ দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ল।

দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিসা পেতে শিক্ষার্থীদের এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জমা দেখাতে হবে। আগে এর পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার।

স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতে, এই পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনা করতে আসা শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের সামর্থ্য নিশ্চিত করা।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রবর্তন করে তার অভিবাসন কৌশল প্রকাশ করেছে।

এর অধীনে, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা বাড়ানো হয়েছিল। যারা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করছেন তাদের এখন ন্যূনতম আইইএলটিএস স্কোর ৬ থাকতে হবে। আগে এটি ছিল ৫ দশমিক ৫। গ্র্যাজুয়েট ভিসার জন্য ন্যূনতম টেস্ট স্কোর ৬ থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫ করা হয়েছে৷

এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ালেখা শেষে যেন নিজের দেশে ফিরে যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যও নিয়মকানুন কঠোর করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন আইনের 'ফাঁকফোকরের মাধ্যমে' তাদের অবস্থানকে দীর্ঘায়িত করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি অভিবাসন ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল বলেছেন, 'আমরা অভিবাসনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনছি।'

সরকার আশা করছে নতুন নীতি গ্রহণ করায় আগামী দুই বছরে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন অর্ধেক কমবে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago