যুক্তরাষ্ট্রে ঘরের মাঠের আমেজ পাবে বাংলাদেশ!

যুক্তরাষ্ট্রের মাঠ, উইকেট আর কন্ডিশন নিয়ে বিশ্বকাপের আগে অনেকের কৌতূহল আছে। তবে ক্রিকেটের জন্য নতুন ভুবন বাংলাদেশের জন্য অচেনা হবে না বলে মত সাবেক ক্রিকেটার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আফতাব আহমেদের।
Aftab Ahmed & Bangladesh

যুক্তরাষ্ট্রের মাঠ, উইকেট আর কন্ডিশন নিয়ে বিশ্বকাপের আগে অনেকের কৌতূহল আছে। তবে ক্রিকেটের জন্য নতুন ভুবন বাংলাদেশের জন্য অচেনা হবে না বলে মত সাবেক ক্রিকেটার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আফতাব আহমেদের। তার মতে অন্তত হিউস্টন ও ডালাসে চেনা আবহে খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করান আফতাব, গত দেড় বছর ধরে আছেন দেশটিতে। মেজর লিগ ক্রিকেটে কাজ করার ফলে চেনেন বেশ কিছু মাঠ। দ্য ডেইলি স্টারকে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, বাংলাদেশ এমনকি ঘরের মাঠে খেলার অনুভূতি পেতে পারে সেখানে।

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এই মুহূর্তে হিউস্টনে আছে বাংলাদেশ দল। ওখানের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে ২১ মে থেকে স্বাগতিক দলের সঙ্গে শুরু হওয়ার কথা তিন ম্যাচের সিরিজ। যদিও গত বৃহস্পতিবার ঝড়ে স্টেডিয়ামের অস্থায়ী স্থাপনা সব ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় খেলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারকে আফতাব জানান বৃষ্টি না হলে বাংলাদেশের মতনই হিউস্টনে বছরের এই সময়টায় আবহাওয়া উত্তপ্ত থাকে। সেখানকার উইকেটও হয় কিছুটা মন্থর ঘরানার,  'হিউস্টনের আবহাওয়া বছরের এই সময়টায় অনেক গরম থাকে, বাংলাদেশের মতই। উইকেটও একদম বাংলাদেশের মতন। আমার মনে হয় বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে খেলার আমেজ পাবে। উইকেট, কন্ডিশন সবই থাকবে একদম সহায়ক।'

হিউস্টনে খেলার পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু ডালাসে গিয়েও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। নিউ ইয়র্কে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর ৮ জুন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবেন শান্তরা। হিউস্টনের মতন ডালাসও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের শহর। আফতাব জানান, সেখানের আবহাওয়াও হবে একদম একইরকম, 'ডালাস, হিউস্টন একই অঙ্গরাজ্যের। কাজেই আবহাওয়ার কোন তারতম্য নেই। যে গরম থাকবে সেটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য একদম সহনীয় হবে। ডালাসের উইকেটেও খুব বেশি বাউন্সি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। স্পিনারদের ভূমিকা অনেক থাকার কথা।'

১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ  নিউ ইয়র্কের নবনির্মিত নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। সেখানকার উইকেট তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালের প্রধান কিউরেটর ড্যামিয়ান হাউ। ড্রপ ইন উইকেটটি বিশেষ ব্যবস্থায় এনে বসানো হয়েছে। অন্য ভেন্যুর তুলনায় ভিন্ন হওয়ার আভাস দিলেন আফতাব,  'নিউ ইয়র্কের কথা আমি বলতে পারব না। কারণ এটা একদম নতুন মাঠ। ওখানে ড্রপ-ইন পিচে খেলা হবে। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া তত্ত্বাবধায়নে উইকেট বানানো হচ্ছে বাউন্সি হতে পারে।'­

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago