টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করেন মোস্তাফিজ

বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজ জানালেন টি-টোয়েন্টি ঘিরে তার ভাবনার কথা। মোস্তাফিজ থেকে ফিজ হয়ে উঠার পেছনের গল্প।
Mustafizur Rahman

বেশিরভাগ ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটকেই সবচেয়ে উপরে রাখেন। তবে কুলীন সংস্করণ নয় মোস্তাফিজুর রহমানের বেশি পছন্দ টি-টোয়েন্টি। বাঁহাতি এই পেসার লাল বল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সেই বার্তা অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজ জানালেন টি-টোয়েন্টি ঘিরে তার ভাবনার কথা। মোস্তাফিজ থেকে ফিজ হয়ে উঠার পেছনের গল্প।

টি-টোয়েন্টি দিয়েই ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মোস্তাফিজের। যদিও বেশি সাড়া ফেলেন শুরুতে ওয়ানডেতে, ভারতকে হারিয়ে। পরে খেলেছেন সব সংস্করণেই। মাত্র ১৪ টেস্টই থমকে গেছেন, লাল বল থেকে নিজেকে দূরে নিয়ে গেছেন স্বেচ্ছায়।

১০৩টি ওয়ানডে আর ৯২ টি-টোয়েন্টি খেলা মোস্তাফিজের যে সীমিত ওভারই বেশি পছন্দ তা বোঝাই যায়। ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটেও প্রচুর টি-টোয়েন্টি খেলা পেসার জানালেন তার কাছে বেশি চাপের মনে হয় কুড়ি ওভারের লড়াই, এটাই উপভোগ করেন তিনি,  'ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা খুব পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপ বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।'

আইপিএলে নিয়মিত মুখ হলেও দেশের হয়ে খেলেই বেশি গর্ব অনুভব করেন মোস্তাফিজ। দেশের হয়ে বড় কিছু অর্জনের আক্ষেপও শোনা গেল বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে,  'দেশের হয়ে খেলা তো একটা গৌরবের বিষয়। আমি সব সময় দেশের হয়ে খেলাটা উপভোগ করি। আমার মনে হয় যখন কোনো বড় টুর্নামেন্ট হয়, কোনো বড় ট্রফি জেতে; তখন বড় খেলোয়াড় বলা হয়। এই আক্ষেপ তো সব সময় রয়েই গেছে।'

মোস্তাফিজকে সারা বিশ্ব এখন শুনে ফিজ নামে। এই ফিজ নামকরণের পেছনের গল্প জানিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় দলের অনুশীলনের সময় হোয়াইট বোর্ডে কোচদের নাম লেখার সুবিধার্থেই তার নাম হয়ে যায় ফিজ,  'আমাদের যে বোর্ডটা আছে—ফিল্ডিং সেশন, বোলিং সেশনের বিষয় লেখা থাকে। ওই বোর্ডে যদি পুরো নাম লেখে, তাহলে অনেক বড় হয়ে যায়। এ কারণে লেখে ফিজ। প্রথম দিন আমি বুঝিনি। ভেবেছি এটা কে। তারপর আমাকে বলেছে, এটা তুমি। এরপর থেকেই...এরপর আমি আইপিএলে খেলতে গিয়েছিলাম ২০১৬ সালে। ওখানেও ফিজ নামটা জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এরপর থেকেই চলছে।'

মোস্তাফিজ নিজের ধার বাড়াতে সব সময় কথা বলেন সতীর্থদের সঙ্গে। একেকজনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে ঋদ্ধ হন তারা। পরামর্শ নেন সিনিয়রদের কাছ থেকেও, 'আমাদের যে পেস বোলাররা আছে—তাসকিন, শরীফুল, সাইফউদ্দিন (বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেটা ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।'

'সাকিব ভাই আছে, রিয়াদ ভাই আছে। আমরা যদি কখনো আটকে যাই, মাঠে হতে পারে বা কোনো কিছু জানার থাকলে ভাইদের কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

2h ago