ইতিহাস বলছে, চ্যাম্পিয়ন হবে ম্যানচেস্টার সিটি

ছবি: টুইটার

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের দৌড়ে চলছে দ্বিমুখী লড়াই। টানা চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের চেয়ে এগিয়ে আছে ২ পয়েন্টের ব্যবধানে। চলতি মৌসুমের শেষদিনে তাই আভাস রয়েছে রোমাঞ্চের।

রোববার পর্দা নামছে প্রিমিয়ার লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের। ২০টি ক্লাবই একই সময়ে মাঠে নামবে। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ম্যান সিটি ঘরের মাঠে মোকাবিলা করবে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে। দুইয়ে থাকা আর্সেনাল নিজেদের ডেরায় আতিথ্য দেবে এভারটনকে।

শেষ রাউন্ডের ম্যাচের আগে কোচ পেপ গার্দিওলার সিটির অর্জন ৩৭ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে আর্সেনালের নামের পাশে ৮৬ পয়েন্ট। তাই জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবে সিটিজেনরা। তবে তারা ড্র করলে বা হারলে আর আর্সেনাল জিতে গেলে শিরোপার আনন্দে মাতবে গানাররা। কারণ গোল পার্থক্যে একটু এগিয়ে রয়েছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ম্যান সিটির গোল ব্যবধান +৬০, আর্সেনালের +৬১।

ইতিহাস অবশ্য কথা বলছে ম্যান সিটির পক্ষে। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াই অতীতে নয়বার গড়িয়েছে শেষদিনে। প্রতিবারই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে শেষ রাউন্ডে যাওয়া ক্লাব উল্লাস করেছে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে। এই নয়বারের মধ্যে সিটিই চারবার হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। তারা ২০২১-২২, ২০১৮-১৯, ২০১৩-১৪ ও ২০১১-১২ মৌসুমের শেষদিনে শিরোপা নিশ্চিত করেছিল।

সবশেষ নজিরের দিকে ফিরে তাকালে, ২০২১-২২ মৌসুমে ৩৭ ম্যাচ শেষে ম্যান সিটির পয়েন্ট ছিল ৯০, লিভারপুলের ৮৯। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৭৬তম মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে পিছিয়ে ছিল সিটি। শিরোপা হারানোর শঙ্কা তখন জোরালো তাদের। ঠিক সেসময়ই অবিশ্বাস্য কায়দায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল গার্দিওলার দল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে তারা ছিনিয়ে এনেছিল জয়।

৯৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ম্যান সিটি। অন্যদিকে, নিজেদের ম্যাচে জিতলেও তাই ৯২ পয়েন্ট পেয়ে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল লিভারপুলকে।

এবারও কি হবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? সিটি করবে উৎসব, আর্সেনালের ভাঙবে হৃদয়? উত্তর জানা যাবে কিছুক্ষণ পরই।

Comments

The Daily Star  | English
Govt employees protest at Secretariat May 2025

The right way to reform the public administration

Bangladesh needs a bureaucracy that serves its citizens with professionalism and integrity, not one driven by blind obedience.

10h ago