আমি সাইম আইয়ুব বা ফখর জামান হতে পারবো না: বাবর

Babar Azam

বাবর আজম নিয়মিত রান করলেও স্ট্রাইক রেটের প্রশ্ন  তার পিছু ছাড়ে না। পাকিস্তানে তাদের অধিনায়কের স্ট্রাইক রেট বড় এক আলোচনার বিষয়। স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার উত্তর প্রায়শই দিতে হয় টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে চার হাজার রান করা এই ব্যাটারকে। এবার তিনি তার রানের গতি নিয়ে সবিস্তারেই কথা বললেন।

পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বাবর বলেন, 'স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট। স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। কিন্তু পরিস্থিতির দাবি কী। আপনি প্রতিদিন একই স্ট্রাইক রেটে খেলতে পারবেন না। সেটা করতে গেলে আপনি ভোগান্তিতে পড়বেন। একদিন ১৫০ স্ট্রাইক রেটে খেলেছি, তো পরেরদিন একইভাবে আপনি খেলতে পারবেন না। কখনো কখনো এর থেকে কম স্ট্রাইক রেটে খেলবেন আপনি। আপনার ফর্ম, ওইদিনে আপনি কেমন অনুভব করছেন, কন্ডিশন কেমন- এসবে নির্ভর করে। তো আমরা বলি যেমন উইকেট হোক, যা কিছু ঘটুক, স্ট্রাইক রেট উপরে থাকা চাই।'

কেন চাইলেই স্ট্রাইকরেট চড়া রাখার লক্ষ্যে অতি-আক্রমণাত্মক খেলা তাকে মানায় না। তা বাবর ব্যখা করেছেন এভাবে, 'আমার খেলা ভিন্ন। আমি একটু সময় নিয়ে খেলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো খেলোয়াড়। আমার খেলার ধরন এমন না যে গিয়েই ছক্কা মেরে দিব। আমি সাইম আইয়ুব কিংবা ফখর জামান হতে পারবো না। আমার যা খেলা আছে, সেটায় কীভাবে উন্নতি আনতে পারি, কোথায় কাজ করতে পারি, তা আমার জানা আছে। কোন শটগুলো আমার আয়ত্ত করতে হবে, প্রথম ছয় ওভারে আমি কত রান টার্গেট করবো। আমি নিচে নিচে খেলেই ১৫০ স্ট্রাইক রেটে খেলতে পারি কখনো, অনেক বেশি ছক্কা কিংবা উড়িয়ে না মেরেও। আমি আমার ক্রিকেটিং শটেই থাকি, মৌলিক বিষয়াদিতেই থাকি। এখন আমি কাল থেকে গিয়েই ছক্কা মারা শুরু করবো তা বলতে পারি না।'

তবে উন্নতি যে করার দরকার তা অস্বীকার করেননি বাবর। তবে তা সময়ের সঙ্গেই হবে বলে বিশ্বাস পাকিস্তানের অধিনায়কের, 'এই যেমন আমার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩০, তখন আমি বলেছি কীভাবে এটা উপরে নিয়ে যেতে পারি। তো একেবারে লাফ দিয়ে উপরে নিয়ে যাইনি, আমি ধীরে ধীরে ১৪০ এ এসেছি। এরপর ১৫০, ১৭০ এ কীভাবে যেতে পারি, তো এটা পরিকল্পনা করতে হয়। দেখুন অভিজ্ঞতাও কাজে আসে, আপনি ধীরে ধীরে শিখতে পারেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago