টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আকিলের স্পিনে উগান্ডাকে গুঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড গড়া জয়

akeal hosein

গায়ানার মন্থর ও টার্নিং উইকেটে শুরুতে জনসন চার্লসের ব্যাটে ভিত পেয়ে পরে ঝড় তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্লগ ওভারে শেরফাইন রাদারফোর্ড ও আন্দ্রে রাসেল দলকে এনে দেন বড় পুঁজি। তা নিয়ে দুর্বল উগান্ডাকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছেন আকিল হোসেন।

রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে 'সি' গ্রুপের আরেক লড়াই হলো ভীষণ একপেশে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে ১৭৩ রানের পুঁজি গড়ে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে স্রেফ ৩৯ রানে থেমে যায় উগান্ডা। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে কোন দলের এটি যৌথ সর্বনিম্ন পুঁজির রেকর্ড। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডস ৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো। আফ্রিকার দলটিকে ধসিয়ে দিতে মাত্র ১১ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল। 

টস জিতে ব্যাটিং বেছে আগ্রাসী শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম ওভারে দলের ৪১ রানে ফেরেন ব্র্যান্ডন কিং।  তিনে নেমে থিতু হয়েছিলেন নিকোলাস পুরান, ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ বলে ২২ করে তার বিদায় দশম ওভারে। প্রান্ত ধরে খেলা চালর্স ৪২ বলে ৪৪ করে আউট হলেও চাপ বাড়েনি। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল নেমেও আনতে থাকেন দ্রুত রান। ১৮ বলে ২৩ করে অবশ্য তিনিও ফিরে যান। তবে রাদারফোর্ডের ১৬ বলে ২২ ও রাসেলের ১৭ বলে ৩০ রানের ঝড়ে ঠিকই ১৭০ ছাড়িয়ে যায় দলের পুঁজি। 

বিশাল লক্ষ্যে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে হাবুডুবু খেতে থাকে উগান্ডা। ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। টানা চার ওভারের স্পেল করে আকিল একে একে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। কখনো আর্ম ডেলিভারি, কখনো প্রথাগত বাঁহাতি স্পিনে উপড়াতে থাকেন উইকেট। এক পর্যায়ে ২৫ রানে ৮ উইকেট হারায় উগান্ডা। 

তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ রান আসে নয়ে নামা কসমস কাইউটার ব্যাট থেকে। তিনি ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি। 
 

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago