নিয়মরক্ষার ম্যাচে ক্যারিবিয়ান ঝড়, বিধ্বস্ত আফগানিস্তান
সেন্ট লুসিয়ার ভালো উইকেট পেয়ে জ্বলে উঠলেন জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরানরা। তাদের তাণ্ডবে দুইশো ছাড়িয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পুঁজি গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর জবাবে খুঁজেই পাওয়া গেল না আফগানিস্তানকে।
ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ক্যারবিয়ানরা। আগে ব্যাটিং পেয়ে ২১৮ রানের চূড়ায় উঠে স্বাগতিক দল। জবাবে আফগানিস্তান থামে ১১৪ রানে।
দলের হয়ে ৫৩ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন পুরান চালর্স শুরুতে নেমে করেন যান ২৭ বলে ৪৩। শেই হোপ, রভম্যান পাওয়েলও খেলেছেন ছোট্ট কার্যকর ইনিংস। ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে সবচেয়ে সফল ওবেদ ম্যাককয়, আকিল হোসেন ধারাবাহিকতা রেখে ২১ রানে তুলেছে ২ উইকেট।
রান তাড়ায় তৃতীয় বলেই রাহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় আফগানরা। আকিল হোসেনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। গুলবদিন নাইব, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবিরাও ফেরেন তড়িঘড়ি। টুর্নামেন্টে প্রথমবার নামা ওবেদ ম্যাককয় তার বাঁহাতি পেসে দুই ওভারেই নেন ৩ উইকেট। ৬৩ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর করিম জানাত, রশিদ খানরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা আফগানরা গুটিয়ে গেছে ২২ বল আগেই।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করে ক্যারিবিয়ানরা। এই গতিই থাকে ইনিংস জুড়ে। ব্র্যান্ডন কিং ৭ করে ফিরলেও চার্লস-পুরান মিলে চালান তান্ডব। ৮ম ওভারেই শতরান পেরিয়ে যায় স্কোর। নাবিন উল হকের বলে ৪৩ করে চার্লসের বিদায়ে আসে কিছুটা স্থবিরতা।
হোপ নেমে নেন হোল্ডিং ভূমিকা। তাতেও প্রায় দেড়শো স্ট্রাইকরেট ধরে রাখতে পারছিলেন তিনি। গুলবদিনের বলে হোপ ১৭ বলে ২৫ করে থামার পর পাওয়েল নেমে বাড়ান গতি। ওদিকে পুরান তখন ছুটছেন দুর্বার। ১৯তম ওভারে ১৫ বলে ২৬ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের বিদায়ের পর পুরান ঝড়ে দল ছাড়াই দুইশো। পুরানও পৌঁছে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছে। কিন্তু দুই রান তিনি গিয়ে আজমতুল্লাহ ওমরজাইর সরাসরি থ্রোতে কাটা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার।
৫৩ বলের উপস্থিতিতে ৬ চারের সঙ্গে পুরান মারেন ৮ ছক্কা। দলকে তুলেন চূড়ায়। সুপার এইটের আগে দেখান তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতার দৌঁড়ে বেশ ভালোভাবেই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Comments