নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন

একই সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন উইলিয়ামসন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার সময়টা একেবারেই ভালো যায়নি নিউজিল্যান্ডের। এই আসরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় দলটি। সাদা বলের বিশ্বকাপে তো শেষ সাতটি আসরে অন্তত সেমিফাইনালে খেলেছে তারা। এবারও ফেভারিট তকমা নিয়ে থাকা দলটির ব্যর্থতায় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন কেইন উইলিয়ামসন।

শুধু অধিনায়কত্বই ছাড়েননি উইলিয়ামসন, একই সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাদা বলে অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন উইলিয়ামসন। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট দলের দায়িত্বও ছাড়েন তিনি। আর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকায় নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে বাধ্য নন তিনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন উইলিয়ামসন।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সব ধরণের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, 'বিভিন্ন সংস্করণে দলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে আমি খুবই আগ্রহী। আমি অবদান রাখতে চাই। তবে ক্রিকেটের বাইরেও আমার জীবন আছে- আমার পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো এবং দেশে বা বিদেশে অন্যদের সাথে অভিজ্ঞতা উপভোগ করা আমার কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে হয়েছে।'

বিজ্ঞপ্তিতে এনজেডসির বলা হয়েছে, 'জানুয়ারির উইন্ডোতে নিউজিল্যান্ডে খুব কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকায় ৩৩ বছর বয়সী উইলিয়ামসন একটি বিশেষ পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মাসের বাইরে সে ব্ল্যাকক্যাপসের হয়ে খেলতে প্রস্তুত থাকবে। বড়দিনের আগে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৮টি টেস্ট, ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও খেলবেন।'

তিন সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামসন। নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪০ টেস্ট, ৯১ ওয়ানডে ও ৭৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার নেতৃত্বেই ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে কিউইরা। ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Inside the lives of RMG workers

In the shadowy predawn hours, the air in Ashulia, a small industrial town on the outskirts of Dhaka, is thick with anticipation.

13h ago