ডেনমার্কের সঙ্গে ড্র করল ইংল্যান্ড

জয় না পেলেও দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

আগের ম্যাচে স্বস্তির জয়ে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। এদিন জয় পেলে নিশ্চিত হয়ে যেতে পারতো দ্বিতীয় রাউন্ড। তবে তা না পারলেও হার এড়িয়ে পরবর্তী রাউন্ডে এক পা দিয়ে রেখেছে গতবারের ফাইনালিস্টরা। অন্যদিকে টানা দুটি ড্রয়ে সমীকরণ কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে গেলে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্কের।

বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট অ্যারেনায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের 'সি' গ্রুপের ম্যাচে ডেনমার্কের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ইংল্যান্ড। দুটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে হ্যারি কেইন এগিয়ে দেওয়ার পর ৩৪তম মিনিটে ডেনিশদের সমতায় ফেরান মরটেন হয়মান্ড।

এই ড্রয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হলো ইংল্যান্ডের। অন্যদিকে দুই ম্যাচের দুটিতেই ড্র করায় ২ পয়েন্ট ডেনমার্কের। সমান ম্যাচে গ্রুপের অপর সদস্য স্লোভেনিয়ার পয়েন্টও ২। দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট সার্বিয়ার।  

ম্যাচে এদিন সমান তালেই লড়াই করে দুই দল। মাঝমাঠের দখলও ছিল প্রায় সমান সমান। তবে আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। মোট ১৪টি শট নেয় দলটি। তার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১২টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে ইংলিশরা।

এদিন ম্যাচের ১৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। ভিক্টর ক্রিস্টেনসেনের ভুলে পেছন থেকে দৌড়ে এসে বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেছিলেন ওয়াকার। সৌভাগ্য তাদের, ডেনিশদের এক খেলোয়াড়ের পায়ে চলে যায় হ্যারি কেইনের কাছে। ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি এই ফরোয়ার্ডের।

৩৪তম মিনিটে ইংলিশ শিবির স্তব্ধ করে দেন মরটেন হয়মান্ড। এবারও সেই রক্ষণের ভুল। এক ইংলিশ খেলোয়াড়ের ভুল পাসে বল পেয়ে এই স্পোর্টিং সিপির মিডফিল্ডারকে বল বাড়ান ভিক্টর ক্রিস্টেনসেন। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট বারপোস্ট ঘেঁষে জালে প্রবেশ করলে সমতায় ফেরার উল্লাসে মাতে ডেনিসরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি হয়। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তেমন দানা বেঁধে ওঠেনি সেই আক্রমণগুলো। ফলে আর কোনো গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত সমতা মেনেই মাঠ ছাড়ে দল দুটি।

একই দিনে 'সি' গ্রুপের অপর ম্যাচেও ১-১ গোলে ড্র করে স্লোভেনিয়া ও সার্বিয়া। 

Comments

The Daily Star  | English

12,000 bhori gold missing from Samabaya Bank: LGRD adviser

Adviser to the Ministry of Local Government and Rural Development (LGRD) AF Hassan Ariff has said that a significant portion of the assets belonging to the Samabaya Bank have been illegally captured. Those who were once associated with the bank have now taken possession of its properties

11m ago