বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় হ্যাটট্রিক, কামিন্সের ‘ধারণাই ছিল না’

টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম হ্যাটট্রিক। আর কোনো দলের বিপক্ষে এই সংস্করণে এত বেশি হ্যাটট্রিক হয়নি।
ছবি: এএফপি

১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদী হাসানকে সাজঘরে ফেরালেন প্যাট কামিন্স। বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে তার শিকার হলেন তাওহিদ হৃদয়। ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার এই ডানহাতি পেসারের। কিন্তু সেটা বুঝতে না পারায় সাদামাটাভাবেই উদযাপন সারলেন তিনি।

শুক্রবার অ্যান্টিগায় দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেন কামিন্স। এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে প্রথম এবং কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে সব মিলিয়ে সপ্তম হ্যাটট্রিক। চতুর্থ অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন কামিন্স। এই সংস্করণে দলটির বোলারদের চারটি হ্যাটট্রিকের তিনটিই এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। কামিন্সের কীর্তির ম্যাচে বাংলাদেশকে ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এক নম্বর গ্রুপের বৃষ্টিবিঘ্নিত লড়াইয়ে অনায়াসে জিতে এবারের বিশ্বকাপের সুপার এইটে শুভ সূচনা করেছে তারা।

ব্যাটিংবান্ধব পিচে উজ্জ্বল বোলিং পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে ১৪০ রানে বেঁধে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি তুলে ধরেন হ্যাটট্রিকের সময়ের অনুভূতি, 'আমার কোনো ধারণাই ছিল না, জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখলাম। (মার্কাস) স্টয়নিসও এসে বলল। ক্রিজে থিতু হওয়া ব্যাটার (হৃদয়) ছিল স্ট্রাইকে, বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিল। আপনি কখনও বলতে পারবেন না, (সেখান থেকে) কী হতে পারত। তাই সেটা বড় উইকেট ছিল। প্রতিপক্ষকে (অল্প রানে) আটকে রাখতে পারায় খুশি।'

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেপটাউনে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ব্রেট লি। সেটা আবার ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই প্রথম হ্যাটট্রিক। এর এক যুগেরও বেশি সময় পর ২০২০ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একই নজির স্থাপন করেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার। পরের বছর মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পেসার ন্যাথান এলিস। সেই তালিকায় এদিন নাম লেখান কামিন্স।

স্বীকৃত ক্রিকেটে কামিন্সের প্রথম হ্যাটট্রিকটি বেঞ্চে বসে দেখেছেন অ্যাগার ও এলিস। তাদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পাওয়ার কথাও জানান তিনি। তবে বিপরীত অভিজ্ঞতা হলো বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে এটি ছিল তাদের বিপক্ষে সপ্তম হ্যাটট্রিক। আর কোনো দলের বিপক্ষে এই সংস্করণে এত বেশি হ্যাটট্রিক হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

1h ago