সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তাসকিন

‘গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছন্দে না থাকলে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক’

ছবি: বিসিবি

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন ভীষণ মলিন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে তাদের ব্যর্থতা বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার পথ করে দেয় রুদ্ধ। এই দুজনের ফর্মহীনতা গোটা আসরে ভুগিয়েছে দলকে, দেশে ফিরে স্পষ্ট করেই বললেন সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।

নয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবকটিতে খেলা অলরাউন্ডার সাকিব চলতি আসরে করেন হতাশ। সাত ইনিংসে তিনি ১৮.৫০ গড় ও ১০৬.৭৩ স্ট্রাইক রেটে করেন মাত্র ১১১ রান। এর মধ্যে ৬৪ রানই আসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। বল হাতেও সাকিব ছিলেন নিষ্প্রভ। উইকেট নিতে পারেন স্রেফ তিনটি। উইকেটশূন্য ছিলেন সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই।

ফিনিশারের ভূমিকাতে মাহমুদউল্লাহও চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হন। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে দলে ফিরে এসে উদাহরণ তৈরি করা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জায়গামতো জ্বলে উঠতে পারেননি। সাত ম্যাচে ১৫.৮৩ গড়ে তিনি করেন মোটে ৯৫ রান। মাহমুদউল্লাহর স্ট্রাইক রেটের দশা ছিল একদমই বেহাল (৯৪.০৫)। পাঁচ ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে উইকেট নিতে পারেন কেবল একটি।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ খেলে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে এক প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকে তাসকিন বলেন, 'দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা আমাদের দলে অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিনের মতো একসঙ্গে ছিলাম, সবার আচরণ খুব ভালো ছিল, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। মাঠের বাইরে সব তো ঠিকই ছিল। আসলে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছন্দে না থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি, দ্রুত এসব কাটিয়ে উঠে সামনে ভালো কিছু করব।'

সুপার এইটে ওঠার পর আর একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি আফগানদের হারিয়ে সেমিতে জায়গা পাওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সেদিন ১২.১ ওভারে ১১৬ রান তাড়া করতে হতো তাদেরকে। এমন পরিস্থিতিতে সাকিব প্রথম বলেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে নেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। অদ্ভুত অ্যাপ্রোচ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ সাতে নেমে আউট হন ৯ বলে ৬ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

8h ago