জর্জিয়াকে উড়িয়ে দিয়েই কোয়ার্টার-ফাইনালে স্পেন

গ্রুপ পর্বে পর্তুগালকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েই নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছিল জর্জিয়া। সেখানেও শুরুতেই এগিয়ে যায় দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারেনি তারা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নবাগত দলটিকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট কাটে স্পেন।

জার্মানির কোলনে স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচে জর্জিয়া ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্প্যানিশরা। শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে প্রথমার্ধেই রদ্রির গোলে সমতা ফেরায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে ফাবিয়ান রুইস, নিকো উইলিয়ামস ও দানি ওলমোর গোলে বড় জয়ই পায় তারা।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই গতিময় ফুটবল খেলতে থাকে স্পেন। কিন্তু কিছুটা ধারার বিপরীতে ১৮তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে বসে দলটি। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থকে ক্রস দিতে চেয়েছিলেন ওতার কাকাবাদজে। সেই বল আটকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন রবিন লে নরম্যান্দ। তবে এই গোলের পর পুরো ম্যাচে আর কোনো জমাট আক্রমণই করতে পারেনি জর্জিয়া।

পুরো ম্যাচে চার শটটি শট নেয় জর্জিয়ানরা। যেখানে লক্ষ্যে থাকেনি একটিও। অন্যদিকে ম্যাচের ৭৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৩৫টি শট নিয়ে ১৩টি লক্ষ্যে রাখে স্পেন। তবে প্রথম ১৫টি একেবারেই ব্যর্থ। ১৬তম শটে সাফল্য পায় দলটি। উইলিয়ামসের কাটব্যাক থেকে ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে জোরালো নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যানসিটি মিডফিল্ডার রদ্রি।

দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিট পার না হতেই লিড নেয় তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। লামিনে ইয়ামালারের ক্রস থেকে গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রুইস। ৭৪তম মিনিটে জালে বল পাঠিয়েছিলেন ইয়ামাল। তবে অফসাইডের কারণে গোল মিলেনি।

পরের মিনিটেই ব্যবধান ৩-১ করে স্পেন। পাল্টা আক্রমণ থেকে নিজেদের অর্ধ থেকে রুইসের থ্রু পাস ধরে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠান আথলেতিক বিলবাও ফরোয়ার্ড উইলিয়ামস। ৮৩তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিকেল ওয়ারজাবালের পাস চতুর্থ গোলটি করেন আরেক বদলি খেলোয়াড় দানি ওলমো। তাতেই শেষ হয় জর্জিয়ার পথচলা।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

5h ago