সরকারের খরচ ও কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ কমানোর সিদ্ধান্ত

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সরকারের খরচ ও কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান; মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কয়েকটি খাতে টাকা খরচে মিতব্যয়ী হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগের পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থনৈতিক কোড উল্লেখ করে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন বাজেটের আওতায় সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে খরচ বন্ধ থাকবে।

বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ দেওয়ার টাকার সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ খরচ করা যাবে।

পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক-অনাবাসিক ও অন্যান্য ভবন তৈরি বন্ধ থাকবে।

তবে চলমান নির্মাণকাজ অন্তত ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে থাকলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে খরচ চালানো যাবে।

সব ধরনের যানবাহন কেনায় বরাদ্দ দেওয়া টাকার খরচ বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনা টিওএন্ডই সব ধরনের যানবাহন বদলানোর ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিয়ে খরচ করা যাবে।

ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ দেওয়া টাকার খরচ বন্ধ থাকবে।

উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থনৈতিক কোড দেওয়া বরাদ্দের খরচ সম্পর্কে বলা হয়, বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি খরচ সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ করা যাবে।

সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে।

ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে খরচ করা যাবে।

পরিপত্র অনুসারে, সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ-সেমিনারে অংশ নেওয়া বন্ধ থাকবে।

তবে অতি জরুরি বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিদেশে যাওয়া যাবে।

পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি টাকায় ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের পক্ষ থেকে স্কলারশিপ-ফেলোশিপের আওতায় বিদেশি অর্থে মাস্টার ও পিএইচডি কোর্সে পড়ার জন্য বিদেশে যাওয়া যাবে।

বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিদেশে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া যাবে।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

3h ago