নিজেদের নিয়ে গর্বিত তুর্কিদের লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ

এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারনি তুরস্ক। ছয় মিনিটের ঝড়ে হৃদয় ভাঙে দলটির। দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ হয়নি। তবে নামীদামী জায়ান্টদের টক্কর দিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারায় গর্বিত তারা। এবার তাদের লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া।

শনিবার রাতে বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিওনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে তুরস্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পায় নেদারল্যান্ডস। প্রথমার্ধে সামিত আকায়দিনের গোলে এগিয়ে ছিল তুরস্কই। দ্বিতীয়ার্ধে স্টেফান ডি ভ্রাইয়ের গোলের পর মার্ট মুলডারের আত্মঘাতী গোলে জয় নিশ্চিত হয় ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নদের। বিদায় নেয় তুর্কি।

মাঝমাঠের দখল ডাচদের বেশি থাকলেও ম্যাচে বেশি আক্রমণ করেছে তুরস্কই। বিশেষকরে শেষ দিকে তো একক আধিপত্য বজায় রেখে খেলেছে দলটি। মোট ১৫টি শট নেয় তারা। যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১১টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখছে নেদারল্যান্ডসও। তুর্কির প্রত্যাশিত গোল ছিল ১.২৯, যেখানে ডাচদের ০.৯৭।

তবে শেষ আটে উঠে নিজেদের গর্বিত মিডফিল্ডার সালিহ ওজকান, 'আমরা খুব দুঃখিত। আমি দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সবাই তাদের সেরাটা দিয়েছে। এই মুহূর্তে শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমি দল নিয়ে খুব গর্বিত। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০২৬। আমাদের ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমরা আশ্চর্যজনক সমর্থন পেয়েছি। তাদের সমর্থন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'

প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন তার সতীর্থ অধিনায়ক হাঁকান ক্যালহানোগ্লুও, 'দুর্ভাগ্যবশত, আমরা কেবল এই পর্যন্তই পেরেছি। আমাদের জাতির জন্য আরও উত্তেজনা আনতে পারলে খুশি হতাম। অবশ্যই, আমরা এই যাত্রা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত ফুটবলে হেরে গিয়েছি।'

'আমি আবারও আমাদের সকল ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করতে পারিনি, আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। এই ব্যাপারগুলো ম্যাচের সময় ঘটে। আমি এতদূর আসতে পেরে গর্বিত। প্রত্যেকেই সম্ভাব্য সেরা উপায়ে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমি আমার সমস্ত সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই,' যোগ করেন ক্যালহানোগ্লু।

 

Comments

The Daily Star  | English

Retired officials’ promotions plunged civil service into crisis

One year into the interim government’s tenure, the public administration ministry remains in disarray

9h ago