গত এক যুগে সব নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠু হয়েছে: পিএসসি

গত এক যুগে বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

এতে আরও দাবি করা হয়, এ সময় বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে নতুন করে কোনো অভিযোগ তোলার অবকাশ নেই।

সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রচারিত প্রতিবেদনের ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে।

এতে বলা হয়, 'গত ৭ জুলাই প্রচারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে গত এক যুগে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। বাস্তবতা হলো, গত ১২ বছরে বিপিএসসিতে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো মহল থেকে কখনোই কোনো ধরনের অভিযোগ বা অনুযোগ ছিল না বিধায় এটি প্রমাণিত যে, ওইসব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময়ে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে নতুন করে কোনোরূপ অভিযোগ উত্থাপনের অবকাশ নেই।

'প্রতিবেদনে গত ১২ বছরে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত এসব পরীক্ষার বিষয়ে বিরূপ প্রচার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিপিএসসির ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে,' উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

পিএসসি বলে, 'গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-ক্যাডার উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ওইদিন পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে আসে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রতিটি বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় ন্যূনতম ছয় সেট প্রশ্নপত্র এবং নন-ক্যাডার পরীক্ষায় ন্যূনতম চার সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়।

'কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ধারণ করতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট আগে লটারি করা হয়। বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষার ক্ষেত্রে লটারির সময় দেশের প্রথিতযশা দুইজন নাগরিক, কমিশনের চেয়ারম্যান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সদস্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকেন। একইভাবে নন-ক্যাডার পরীক্ষার ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়ারম্যান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সদস্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকেন,' উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

পিএসসি আরও বলে, 'গত ৫ জুলাই রেলওয়ের নন-ক্যাডার উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই নিয়ম অনুসরণ করে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে লটারি করে কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে সে বিষয়টি সকাল সাড়ে ৯টায় সংশ্লিষ্টদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে তা পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে কারোরই জানার সুযোগ নেই।'

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কমিশনের আওতাভুক্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র সমীক্ষণ ও মুদ্রণ সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে করা হয় এবং তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এসব কারণে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি যে কোনো ব্যক্তির নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকে কিন্তু পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দুই দিন পরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি যথাযথ কি না তা নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।'

প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, পিএসসির কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজসহ জনমনে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। পিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।

'সেই আস্থা ও বিশ্বাস সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে যথা সময়ে অভিযোগ না হওয়া সত্ত্বেও যদি কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ গত ৫ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বা প্রতারণা বা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ হয়, তাহলে কমিশন সংশ্লিষ্টের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,' উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

6h ago