সরকারি জমি দখল করে আবেদ আলীর গরুর খামার-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
মাদারীপুরে ডাসার উপজেলায় সড়ক ও জনপথের (সওজের) জায়গা দখল করে রাস্তার দুই পাশে গরুর খামার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ডাসার ইউনিয়নের কমলাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি সেতুর পাশেই এসব স্থাপনা।
খবর পেয়ে ওইসব স্থাপনার সীমানা দেয়াল ভেঙে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্মাণকারীকে নোটিশও দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এসব স্থাপনা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলীর, যিনি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক।
আজ বুধবার সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেতু সংলগ্ন রাস্তার ডান পাশেই ১০০ গরু পালনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি খামার।
গরুর খাবারের জন্য বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ছয় থেকে আট সারি জায়গা তৈরি করা হয়েছে ইটের গাঁথুনি দিয়ে। স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় খামারে বড় বড় আগাছা জন্ম নিয়েছে। এর বাম পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য পিলার তৈরি করা হয়েছে।
এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ আফরোজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফেব্রুয়ারিতে ওই স্থাপনার বিষয়ে জানতে পারি। কমলাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথের জমিতে আবেদ আলী ভবন তুলছিলেন। আমরা নির্মাণকাজ বন্ধ করে অসমাপ্ত ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছি।'
'আবেদ আলীকে নির্দেশ দিয়েছি তিনি যেন তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেন। তা ছাড়া শুনেছি তিনি কিছু অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে', বলেন তিনি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ডাসার উপজেলা প্রশাসন সরকারি জায়গায় গরুর খামার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।
জানতে চাইলে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে আবেদ আলী সওজের সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আমরা পরে ওই স্থাপনার সীমানা দেয়াল ভেঙে দিয়ে আসি এবং স্থাপনা নির্মাণকারীকে নোটিশ দেই যেন তিনি তার স্থাপনা সরকারি জায়গা থেকে সরিয়ে নেন।'
তিনি আরও বলেন, 'তিনি তার স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন কি না এবং ওই জায়গার অবস্থা এখন কেমন, তা আমার জানা নেই। যদি দেখতে পাই অবৈধ স্থাপনা এখনো আছে, সেক্ষেত্রে স্থাপনা নির্মাণকারীকে আমরা আবার নোটিশ দেবো এবং প্রয়োজন হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।'
Comments